বুধবারের চিদম্বরম স্টেডিয়াম আরও একবার মহেন্দ্র সিংহ ধোনিকে নিয়ে উল্লাসে মাতোয়ারা। ধোনি ফিরলেন, মাঠে এলেন এবং জয় করলেন। আরও একবার দিল্লীকে ৮০ রানে হারিয়ে আইপিএল লিগ টেবিলের শীর্ষে উঠে এল চেন্নাই সুপারকিংস।
টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন দিল্লি ক্যাপিটালসের অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৭৯ তোলে সিএসকে। সুরেশ রায়না ৫৯ এবং ডু’প্লেসি করেন ৩৯ রান। ধোনি মাত্র ২২ বলে ৪৪ রানের একটি ঝোড়ো ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। বিশ্বকাপের আগে আচমকা কোমরের চোট এবং পরে জ্বরে আক্রান্ত সিএসকে অধিনায়কের মাঠের বাইরে থাকা নিয়ে যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল সমর্থকদের মনে, সেটাও নিমেষে উধাও হয়ে গেল বুধবারই। তাঁর ২২ বলে অপরাজিত ৪৪ রানের ঝোড়ো ইনিংস দেখার পরে সেই অস্বস্তিও কেটে গেল। মারলেন চারটি বাউন্ডারি এবং এবং তিনটি ছয়। স্ট্রাইক রেট ২০০.০০। এবং তার পরে দেখা গেল সেই অবিশ্বাস্য উইকেটকিপিং। শ্রেয়স আইয়ার, ক্রিস মরিস এবং অমিত মিশ্রের পা সামান্য উঠতেই ধোনি ভেঙে দিলেন উইকেট।।
ব্যাট করতে নেমে প্রথম থেকেই ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়ে দিল্লী ক্যাপিটালস। সিএসকের স্পিনার ইমরান তাহিরের বোলিং দাপটে কার্যত তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে দিল্লীর ব্যাটিং লাইনআপ। ৩.২ ওভারে মাত্র ১২ রান দিয়ে ৪টি উইকেট তুলে নেন ইমরান। এছাড়া ৩টি উইকেট নেন রবীন্দ্র জাদেজা। ১টি করে উইকেট পান দীপক চাহার এবং হরভজন সিং। দিল্লীর হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন শ্রেয়স আইয়ার(৪৪)। এছাড়া শিখর ধাওয়ান করেন ১৯ রান। এই দু’জন ছাড়া দিল্লীর কোনও ব্যাটসম্যানকেই এদিন জ্বলে উঠতে দেখা যায়নি। ১৬.২ ওভারে মাত্র ৯৯ রানে গুটিয়ে যায় দিল্লী ক্যাপিটালসের ইনিংস। ৮০ রানে ম্যাচ জিতে নেয় ধোনিবাহিনী। ম্যাচের সেরা হন মহেন্দ্র সিং ধোনি।
ম্যাচের পরে সিএসকে অধিনায়ক বলেছেন, ‘‘আমার কাছে ব্যাপারটা নতুন নয়। উইকেটে অপেক্ষা করে বাজে বলকে আক্রমণ করতে হবে, সেই ভাবনা নিয়েই ব্যাটিং করেছি। এই ধরনের ম্যাচে খেলায় বৈচিত্র না আনতে পারলে জয় নিশ্চিত করা যায় না। আমার সুবিধা হয়েছিল ১০-১৫টা বল আগেই খেলে নিয়েছিলাম।’’ এ দিন তিনটি স্টাম্পিং নিয়ে ধোনির মন্তব্য, ‘‘টেনিস বলে ক্রিকেট খেলে স্টাম্পিং অনেক শক্তিশালী হয়েছে। তবে উইকেটকিপিংয়ের প্রাথমিক ব্যাপারটা থেকে সরে এলে চলবে না।’’