লোকসভা ভোটের চূড়ান্ত ব্যস্ততার মধ্যেও বিধানসভা উপনির্বাচনের প্রার্থী ঘোষণাতেও যেভাবে চমক দিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তা সত্যিই অনবদ্য। হবিবপুর কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন অমল কিস্কু। উন্ন্যন-সহ সমস্ত বিষয়ে যেমন বিরোধীদের টেক্কা দেয় তৃণমূল এবার মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার ক্ষেত্রেও সবাইকে পিছনে ফেলে দিল তৃণমূল।
আড়ে বহরে বড় মিছিল করে বিরোধীদের টেক্কা দিয়ে হবিবপুর উপনির্বাচনে মনোনয়ন জমা করাল তৃণমূল কংগ্রেস। গতকাল দুপুরে একঝাঁক জেলা নেতাদের নিয়ে তৃণমূলের বর্ণাঢ্য মিছিল জেলা প্রশাসনিক ভবনে আসে। প্রত্যাশিতভাবেই শাসকদলের মিছিলে বিপুল জনসমাগম ছিল। ২ মে মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষদিন।
সকাল থেকেই মালদহের হবিবপুর লাগোয়া পুরাতন মালদহে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাকর্মীরা জমায়েত হতে শুরু করেন। হবিবপুর, বামনগোলা থেকে প্রচুর আদিবাসী, রাজবংশী মানুষ তৃণমূল প্রার্থী অমল কিস্কুর মনোনয়ন পেশের মিছিলে উপস্থিত থাকতে চলে আসেন। দুপুরে বিরাট আয়তন মিছিল নিয়ে সাহাপুর সেতু পার করে জেলা প্রশাসন ভবনের দিকে রওনা দেন নেতৃত্ব। বিশাল সেই মিছিল তো বটেই উপস্থিত নেতাকর্মীদের শরীরি ভাষাও বিশেষ বার্তা দিচ্ছিল। অন্তত এমনটাই দাবি প্রত্যক্ষদর্শীদের। ফেস্টুন থেকে ব্যানার, দলীয় পতাকা, ধামসা, মাদলেও মিছিল সুসজ্জিত ছিল। দলের জেলাস্তরের শীর্ষনেতাদের উপস্থিতিও ছিল লক্ষণীয়। জেলা প্রশাসন ভবনের প্রধান ফটকের মুখেই নিরাপত্তার জন্যে যখন মিছিলকে থামতে হয় তখনওওই এলাকায় ভিড়ে ছয়লাপ।
তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন এদিন মিছিলের সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন। তিনি বলেন, প্রচুর মানুষ মিছিলে আসতে চাইছিলেন। রোদ,গরমের কারণে আমরা সবাইকে আসতে বারণ করতে বাধ্য হয়েছি। তবুও প্রবল জনস্রোত নিয়ে আমাদের প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। হবিবপুর, বামনগোলার মানুষের উৎসাহ বলে দিচ্ছে, এই নির্বাচনের ফলাফল কী হবে। আমাদের প্রার্থী অমল কিস্কু গত বিধানসভা নির্বাচনে সামান্য ভোটে হেরেছিলেন। সদ্য লোকসভা নির্বাচনের প্রচার করতে গিয়ে আমরা যেভাবে সাড়া পেয়েছি তাতে লালদুর্গে এবার ঘাসফুল ফুটছেই।
যেভাবে বিপুল জনসমর্থনের মধ্য দিয়ে বিরোধীদের টেক্কা দিয়ে মনোনয়ন পেশ করল তৃণমূল, তাতে জয় যে শুধু সময়ের অপেক্ষা তা একবাক্যে স্বীকার করছেন সকলেই।