বাংলার উন্নয়নকে হাতিয়ার করে ভোটপ্রচারে নেমেছে তৃণমূল। শ্যামপুরের তৃণমূল কর্মীরাও এই লক্ষ্যেই প্রচারে নেমেছে যে, আগের বারের থেকে বেশি ভোটে জিতবে তৃণমূল। এখানকার তৃণমূলের বিধায়ক কালীপদ মণ্ডল ২০১৬ সালে সাড়ে ২৬ হাজার ভোটে জিতলেও গতবছর উলুবেড়িয়া লোকসভা উপনির্বাচনে তৃণমূলের সাজদা আহমেদ প্রায় সাড়ে ৭১ হাজার ভোটে লিড দিয়েছিলেন। সেখানেই সাজদার সমর্থনে প্রচার করতে এসেছিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। মূলত উন্নয়নের জোরেই এই এলাকায় তৃণমূলের ভোট বেড়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে। এবারও তার অন্যথা হবে না বলেই দাবি তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের। শ্যামপুরের জনসভায় তৃণমূল প্রার্থী সাজদা আহমেদের জয়ের ব্যবধান বাড়াতে নির্দেশ দিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বাংলায় উন্নয়নের জোয়ার বইছে। তার জেরেই তৃণমূলের প্রতি মানুষের সমর্থন দিন দিন বেড়েছে। রাজ্যের সীমা পেরিয়ে তাই এখন দেশের নেত্রী হয়ে উঠেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই তাঁর উন্নয়নের মডেল এবার সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ছে। শ্যামপুরে একাধিকবার প্রচারে এসে মানুষের ব্যাপক সাড়াও পেয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী সাজদা আহমেদ। ইতিমধ্যে উলুবেড়িয়ায় প্রচারে এসে সাজদার জয়ের ব্যবধান আরও বাড়ানোর লক্ষ্য স্থির করে দিয়ে গেছেন যুব তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার সন্ধেয় শ্যামপুরের গড়চুমুক বাজারে নির্বাচনী প্রচার সভায় এসে সেই কথাই তুলে ধরলেন পুরমন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। পুরমন্ত্রী বলেন, “রাজ্যের ৪২টি আসনের সব কটিতেই তৃণমূল জয়ী হবে”।
তৃণমূলের বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্প থেকে বাংলার মানুষ উপকৃত হয়েছেন। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর মানুষের ক্ষোভ ক্রমশ বেড়েই চলেছে। তাই এই শ্যামপুর কেন্দ্রে তৃণমূলের লিড গতবারের থেকে বাড়বে। ফিরহাদ বলেন, “কেন্দ্রের বিজেপি সরকার পাঁচ বছর ধরে মানুষকে মিথ্যা কথা বলে ভাঁওতা দিয়ে গেছে। যার জবাব এই ভোটে বিজেপিকে কড়ায়–গণ্ডায় মিটিয়ে দেবে সাধারণ মানুষ”।