কর্মী-সমর্থকদের পাত্তা নেই। তাই বামফ্রন্টকে ভোট দেওয়ার আবেদন জানাতে শেষ পর্যন্ত মাঠে নামতে হল খোদ সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রকেই। আবেদন জানিয়ে পোস্ট করতে হল সোশ্যাল মিডিয়ায়।
অবশ্য সেই পোস্টও রাজ্যসম্পাদক সুলভ নয় মোটেই। উল্টে ব্যাপক বোকাবোকা। ইংরাজিতে লেখা সূর্য মিশ্রের পোস্ট দেখে এমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। কী আছে ওই পোস্টে? বেশ কিছু ইংরেজি শব্দ থেকে ‘আর’ বাদ দিয়েছেন তিনি। যেমন ‘প্রবলেম’ হয়েছে ‘পবলেম’, ‘প্রেসিডেন্ট’ ‘পেসিডেন্ট’, ‘প্রোজেক্ট’ লেখা হয়েছে ‘পোজেক্ট’। পোস্টের শেষে লিখেছেন, ‘আর’ ফেরত আনতে চাইলে লাল পতাকাকে উঁচু করে রাখুন। তারপর হ্যাশট্যাগ দিয়ে লেখা, ‘বামেদের ভোট দিন’।
সিপিএম রাজ্য সম্পাদকের এমন পোস্ট দেখে তুমুল হাসাহাসি করছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীরা। চলছে খোঁচা দেওয়া। ট্রোলিংয়ের শিকারও হতে হয়েছে তাঁকে। অনেকের প্রশ্ন, এটাই কি রাজ্য সম্পাদকের কাজ? কেউ কেউ বলছেন, ‘মাতৃভাষা মাতৃদুগ্ধ’-র নামে চোনা গিলিয়ে রাজ্যের প্রাথমিক স্কুল থেকে ইংরেজি তুলে দিয়েছিলেন সূর্যকান্ত মিশ্র, বিমান বসুরা। এখন সোশ্যাল মিডিয়াতে তাঁরাই ইংরেজির আস্ফালন করেন কীভাবে? কেন সূর্য মিশ্র এই পোস্ট বাংলা ভাষায় লিখলেন না, সেই প্রশ্নও করেছেন অনেকে।
আবার অনেকের মতে, ইদানীং সূর্য মিশ্রের পোস্টে বুদ্ধিমত্তার ছাপ নেই মোটেই। জানা গেছে, এক বহিষ্কৃত বাম সাংসদ সিপিএম রাজ্য সম্পাদকের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যাণ্ডেল দেখভাল করতেন। মেধাবী সেই সাংসদের সৌজন্যে সূর্য মিশ্রর পোস্টেও মিলত বুদ্ধির ঝিলিক। সেই সাংসদকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে সিপিএম। ফলে সূর্য মিশ্রের পোস্টও এখন হয়েছে বোকা বোকা। আজকের করা পোস্টে সেই বোকামিরই প্রতিফলন ঘটল। বেশ বোঝা যাচ্ছে মেধাবী সেই সাংসদকে বহিষ্কারের খেসারতই এখন গুণতে হচ্ছে সূর্য মিশ্রদের।