মার্চের প্রথম সপ্তাহেই শেষ হয়েছে আই লিগ। আই লিগের সাতটি ক্লাব ফেডারেশন সভাপতি প্রফুল্ল প্যাটেলের উপেক্ষার জন্য সুপার কাপে খেলবে না, এমনটা ঠিক হয়েছিল ১২ মার্চ।
কিন্তু আই লিগে খেলার চুক্তির সময়ে তিন নম্বর পৃষ্ঠায় অনুচ্ছেদ ‘এ’ তে স্পষ্ট বলা হয়েছে, আই লিগের পর ফেডারেশন আয়োজিত নক আউট টুর্নামেন্টে খেলতে বাধ্য ক্লাবগুলি। ইস্ট বেঙ্গল ও মোহন বাগান সুপার কাপের জন্য অনুশীলন শুরু করে। কিন্তু একটা সময়ে দেখা যায় ইস্টবেঙ্গলের ইনভেস্টর কোয়েস ক্রমশ খেলোয়াড়দের পেমেন্ট দিয়েছে। কোচ আলেহান্দ্রো সহ বাকিরা ফিরে গিয়েছেন দেশে। কিন্তু মোহন বাগান মরশুম শেষ হয়ে যাওয়ার সাত সপ্তাহ পরও সনি নর্ডি, হেনরি, ডিপান্ডা ডিকা, ইউটাদের পেমেন্ট বাকি রেখে দিয়েছে। সোমবার এই ব্যাপারে মোহন বাগান অর্থ সচিব জানান, “অতীতে খেলোয়াড়দের বকেয়া ছিল। আমরা মিটিয়ে দিয়েছিলাম। এবারও দিয়ে দেব। জিএসটি নিয়ে জটিলতা আছে। পূর্বতন সচিব ক্লাব তহবিলের অর্থ কোম্পানি ফান্ডে ট্রান্সফার করেছিলেন। তাই আমাদের সমস্যা আরও গভীর। ফেডারেশনের অনুদানও বন্ধ। আমরা চেষ্টা করছি সমস্যার সমাধানে”।
অর্থ সচিব স্পষ্ট করে বলেননি কবে পেমেন্ট দেওয়া হবে। যদিও মোহনবাগানের সঙ্গে এঁদের ৩০ এপ্রিল অবধি চুক্তি আছে। তাই মুখ বুজে তারা আছেন কলকাতায়। কিন্তু মঙ্গলবার ওই সব বিদেশিদের অপেক্ষার সীমাও ক্রমশ ছাড়িয়ে যাচ্ছে। তাই লাখ টাকার প্রশ্ন, কবে পেমেন্ট পাবেন মোহন বাগানের খেলোয়াড়রা? এই নিয়ে গত ফেব্রুয়ারি মাসে এক শীর্ষ কর্তা বললেন, ‘আর্থিক বছরের মাঝখানে কোনও সংস্থা স্পনসর হিসাবে আসতে চাইনি।’ ঘটনা হল, ২০১৯-২০ আর্থিক বছরে প্রথম মাসটি চলে গেলেও মোহন বাগানকে স্পনসর করতে কোনও সংস্থা এগিয়ে আসেনি। এরই মধ্যে সুপার কাপ বয়কট করায় ফেডারেশন আই লিগের জন্য বরাদ্দকৃত ৪৫ লাখের অনুদানও বন্ধ করে দিয়েছে।