রাজনীতি কি শুধুই সমাজসেবা? হয়তো নয়। কারণ, গত পাঁচ বছরে অর্থাৎ ২০১৪–১৯ সালে বিজেপি সাংসদেরা আগের তুলনায় অনেক ধনী হয়েছেন। রাজনীতি এখন আর শুধুই সমাজসেবা বা জনস্বার্থের জন্য নয়। অন্যান্য অনেক পেশার থেকে লাভজনক পেশা। এবার লোকসভা ভোটের মনোনয়ন পেশের সময় বিজেপি প্রার্থীদের ঘোষিত সম্পত্তি থেকেই এমনই সব তথ্য জানা গিয়েছে। এই পাঁচ বছরে বিজেপি সাংসদেরা নিজেদের ঝুলি ভালো করে ভরে নিয়েছেন। গেরুয়া শিবির তো সাধারণ মানুষের কথা সেভাবে ভাবেন না। তাঁরা গ্যাসের দাম বাড়িয়েছেন, চাকরি দেওয়ায় প্রতিশ্রুতি দিয়েও চাকরি দেয়নি। দেশে বেকারত্বের সংখ্যা বাড়িয়েছেন। এদিকে নিজেদের ঝুলি ভরে নিচ্ছেন। একটি সমীক্ষা থেকে এই তথ্যই পাওয়া গেছে।
যেমন, গত পাঁচ বছরে জেএমএম প্রধান তথা দুমকার প্রার্থী শিবু সোরেন এবং জামশেদপুরের প্রার্থী চম্পাই সোরেনের সম্পত্তি দ্বিগুণ হয়েছে। আবার ঝাড়খণ্ডের বিজেপি সভাপতি তথা সিংভূমের বিজেপি প্রার্থী লক্ষ্মণ গিলুয়া এবং খুন্তির প্রার্থী অর্জুন মুন্ডার সম্পত্তি যথাক্রমে পাঁচ এবং চারগুণ বেড়েছে। অন্যদিকে দেখতে গেলে বাংলার তৃণমূল সরকার মানুষের জন্য লড়াই করছেন। তাঁরা মানুষের কথা ভেবে কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, সবুথসাথী, রূপশ্রী-র মতো প্রকল্প করছেন। এমনকি সমব্যথী প্রকল্পও চালু করেছেন বাংলায় তৃণমূল সরকার।
প্রসঙ্গত, সাংসদ এবং বিধায়কদের আত্মপ্রত্যয়ের অধিকার রয়েছে সংসদ এবং বিধানসভাগুলি। সেই অধিকার প্রয়োগ করে বর্তমানে বিজেপির সাংসদ ও বিধায়কেরা নিজেদের বেতন এবং ভাতা বাড়িয়ে নিয়ে নিজেদের ঝুলি ভরছেন, দশের মানুষের কথা ভাবছেন না।