গোটা বছর ধরেই সন্ত্রাসের পথে হাঁটে বিজেপি। ভোট চলাকালীনও তার থেকে অব্যাহতি নেই। যেনতেন প্রকারেণ সমস্ত মানুষকে গেরুয়া শিবিরে অন্তর্ভুক্ত করাই বিজেপির মূল লক্ষ্য আর তা না হলে প্রাণহানি হওয়ার আশঙ্কা। যেমনটা ঘটল গতকাল। জগদ্দলে আজ নরেন্দ্র মোদীর জনসভায় আসতে রাজি না হওয়ায় রবিবার রাতে খুন হলেন এক তৃণমূলকর্মী।
আজ সোমবার ভাটপাড়ার জিলেবি মাঠে মোদীর জনসভা। ব্যারাকপুরের বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিংয়ের হয়ে আজ প্রচারে এসেছেন মোদী। অভিযোগ, তার আগের রাতে জগদ্দলের সুদিয়াপাড়ার বাসিন্দা মহম্মদ আবিদের বাড়িতে যায় কিছু বিজেপি সমর্থক। তারা আবিদকে মোদীর জনসভায় যাওয়ার জন্য জোরাজুরি করতে থাকে। রাজি হননি আবিদ। তিনি এলাকায় তৃণমূলকর্মী হিসেবে পরিচিত। তখন তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। অভিযোগ, তাতে কাজ না হওয়ায় দুষ্কৃতীরা আবিদের গলায় ধারালো অস্ত্রের কোপ মারে। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন আবিদ। পালিয়ে যায় দুস্কৃতীরা। বাড়ির লোক ও পড়শিরা তড়িঘড়ি আবিদকে ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
উত্তর ২৪ পরগনার তৃণমূল জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেছেন, ‘গুন্ডা ও এবাং লুটের মাস্টার অর্জুন সিংকে বিজেপি প্রার্থী করেছে। ও বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই এলাকায় অত্যাচার করে চলেছে। এ দিন যে ঘটনা ঘটেছে, তা খুবই নিন্দনীয়। আমরা বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনে যাব।’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলায় যে শান্তি স্থাপন করেছেন তা বিনষ্ট করাই বিজেপির মূল লক্ষ্য। ভোটের বেশ কিছুদিন আগে থেকেই বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা নানা জায়গাতে হামলা করে চলেছে। যেহেতু এবার দেশ জুড়ে বইছে মোদী বিরোধী হাওয়া আর মানুষও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন গেরুয়াশিবিরের দিক থেকে তাই ভয় পেয়ে যেভাবে হোক ক্ষমতা কায়েম করতে চাইছে বিজেপি আর তার বলি হচ্ছেন এমন অনেক সাধারণ মানুষ।