আদর্শ আচরণবিধি ভেঙেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপির সভাপতি অমিত শাহ। অভিযোগ, তা সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না নির্বাচন কমিশন। এই অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গেল কংগ্রেস।
কংগ্রেস সাংসদ সুস্মিতা দেব, এই মর্মে পিটিশন দাখিল করেছেন যে, বারবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ আদর্শ নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন করে উস্কানিমূলক ভাষণ দিয়ে ভোটারদের মধ্যে ধর্মীয় মেরুকরণের চেষ্টা করছেন। তাছাড়া সেনাবাহিনীর অভিযানকে নিজেদের রাজনৈতিক প্রচারের জন্য ব্যবহার করছেন। এব্যাপারে বারবার নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ করলেও নিষ্ক্রিয় রয়েছে কমিশন। এই অভিযোগেই সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দাখিল করে মোদী এবং শাহ-এর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আবেদন করেছেন কংগ্রেস সাংসদ সুস্মিতা। সুপ্রিম কোর্ট তাঁর পিটিশন গ্রহণ করেছে। মঙ্গলবার ওই পিটিশনের শুনানির দিন ধার্য করেছে শীর্ষ আদালত।
গত মাসে নির্বাচন কমিশন খুব নির্দিষ্ট করে রাজনৈতিক দলগুলিকে বলেছিল, ভোটের প্রচারে পুলওয়ামায় জঙ্গি হানা বা বালাকোটে বায়ুসেনার অভিযানের কথা উল্লেখ করা যাবে না। কংগ্রেসের অভিযোগ, নির্বাচন কমিশনের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও মোদী এবং অমিত শাহ বার বার ভাষণে সেনা অভিযানের কথা উল্লেখ করেছেন। ১৭ এপ্রিল গুজরাতের সুন্দরনগর জেলায় ভোটের প্রচারে মোদী বলেছিলেন, পুলওয়ামায় জঙ্গি হানায় ৪০ জনের বেশি সিআরপিএফ জওয়ান মারা গিয়েছেন। তারপর সরকার পাকিস্তানের ভাঁওতায় কান দেয়নি। তাঁর কথায়, আগে পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদীরা আমাদের দেশে আক্রমণ চালাত এবং নিরাপদে ফিরে যেত নিজেদের ঘাঁটিতে। পাকিস্তান আমাদের হুমকি দিত, আমরা যদি পালটা আঘাত করি তারা পরমাণু অস্ত্র প্রয়োগ করবে। আমি তাদের বলেছি, যা ইচ্ছা কর। কিন্তু আমরাও প্রতিশোধ নেব।
গত রবিবার বিহারের সমস্তিপুরে অমিত শাহ বলেন, মোদীর আমলে দেশের সীমান্ত সুরক্ষিত ছিল। আমাদের সরকার দেশের নিরাপত্তাকেই প্রধান ইস্যু বানিয়েছে। আমেরিকা ও ইজরায়েলের পরে ভারতই একমাত্র দেশ যে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সাহসের সঙ্গে পদক্ষেপ করেছে। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এক ভাষণে ভারতের সেনাবাহিনীকে ‘মোদীজি কা সেনা’ বলে উল্লেখ করেন। তার পরে নানা মহল থেকে প্রতিবাদ করা হয়। কংগ্রেসের অভিযোগ, বিজেপি নেতাদের এই ধরনের ভাষণের বিরুদ্ধে বার বার অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা নিতে গড়িমসি করেছে।মোদী-শাহের বেআইনি ভাষণ নিয়েও ‘নিষ্ক্রিয়’ কমিশন – সুপ্রিম কোর্টে কংগ্রেস
আদর্শ আচরণবিধি ভেঙেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপির সভাপতি অমিত শাহ। অভিযোগ, তা সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না নির্বাচন কমিশন। এই অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গেল কংগ্রেস।
কংগ্রেস সাংসদ সুস্মিতা দেব, এই মর্মে পিটিশন দাখিল করেছেন যে, বারবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ আদর্শ নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন করে উস্কানিমূলক ভাষণ দিয়ে ভোটারদের মধ্যে ধর্মীয় মেরুকরণের চেষ্টা করছেন। তাছাড়া সেনাবাহিনীর অভিযানকে নিজেদের রাজনৈতিক প্রচারের জন্য ব্যবহার করছেন। এব্যাপারে বারবার নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ করলেও নিষ্ক্রিয় রয়েছে কমিশন। এই অভিযোগেই সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দাখিল করে মোদী এবং শাহ-এর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আবেদন করেছেন কংগ্রেস সাংসদ সুস্মিতা। সুপ্রিম কোর্ট তাঁর পিটিশন গ্রহণ করেছে। মঙ্গলবার ওই পিটিশনের শুনানির দিন ধার্য করেছে শীর্ষ আদালত।
গত মাসে নির্বাচন কমিশন খুব নির্দিষ্ট করে রাজনৈতিক দলগুলিকে বলেছিল, ভোটের প্রচারে পুলওয়ামায় জঙ্গি হানা বা বালাকোটে বায়ুসেনার অভিযানের কথা উল্লেখ করা যাবে না। কংগ্রেসের অভিযোগ, নির্বাচন কমিশনের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও মোদী এবং অমিত শাহ বার বার ভাষণে সেনা অভিযানের কথা উল্লেখ করেছেন। ১৭ এপ্রিল গুজরাতের সুন্দরনগর জেলায় ভোটের প্রচারে মোদী বলেছিলেন, পুলওয়ামায় জঙ্গি হানায় ৪০ জনের বেশি সিআরপিএফ জওয়ান মারা গিয়েছেন। তারপর সরকার পাকিস্তানের ভাঁওতায় কান দেয়নি। তাঁর কথায়, আগে পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদীরা আমাদের দেশে আক্রমণ চালাত এবং নিরাপদে ফিরে যেত নিজেদের ঘাঁটিতে। পাকিস্তান আমাদের হুমকি দিত, আমরা যদি পালটা আঘাত করি তারা পরমাণু অস্ত্র প্রয়োগ করবে। আমি তাদের বলেছি, যা ইচ্ছা কর। কিন্তু আমরাও প্রতিশোধ নেব।
গত রবিবার বিহারের সমস্তিপুরে অমিত শাহ বলেন, মোদীর আমলে দেশের সীমান্ত সুরক্ষিত ছিল। আমাদের সরকার দেশের নিরাপত্তাকেই প্রধান ইস্যু বানিয়েছে। আমেরিকা ও ইজরায়েলের পরে ভারতই একমাত্র দেশ যে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সাহসের সঙ্গে পদক্ষেপ করেছে। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এক ভাষণে ভারতের সেনাবাহিনীকে ‘মোদীজি কা সেনা’ বলে উল্লেখ করেন। তার পরে নানা মহল থেকে প্রতিবাদ করা হয়। কংগ্রেসের অভিযোগ, বিজেপি নেতাদের এই ধরনের ভাষণের বিরুদ্ধে বার বার অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা নিতে গড়িমসি করেছে।