বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বরাবরই বলে আসছেন ৪২-এ ৪২ আসনই পাবে তৃণমূল৷ সেই একই সুর, একই প্রত্যয় ঝরে পড়ল শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷
শনিবার প্রেস ক্লাবে ‘মিট দ্য প্রেস’–এ পার্থ জানালেন, ” বিজেপি বাংলায় ১০টা আসন নিয়ে ভাবছে কেন? আমরা তো ৪২টা আসনেই জিতব! এখানকার প্রতিটি ঘরে যেভাবে উন্নয়ন পৌঁছেছে, তার জেরেই মানুষ আমাদের ভোট দেবেন”৷
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কুর্তা ও মিষ্টি পাঠানোর প্রসঙ্গেও মুখ খোলেন পার্থ৷ এই প্রসঙ্গে অকারণ যে জলঘোলা হচ্ছে তাও স্পষ্ট করেন তিনি৷ তিনি জানান, “প্রধানমন্ত্রী সৌজন্যবোধটুকুও হারিয়েছেন। হতাশায় ভুগছেন। মনুষ্যত্ব কতটা আছে, তা নিয়েও সন্দেহ দেখা দিয়েছে।’’
এদিন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রকেও একহাত নিয়েছেন পার্থ। তিনি বলেছেন, “খগেন মুর্মু ও মাফুজা খাতুনের মতো নেতানেত্রীরা বিজেপি–তে চলে গেলেন। আর বিজেপি এমনিতেও দূর্নীতিগ্রস্ত দল৷”
ভাটপাড়া থেকে মদন মিত্রর জয় নিয়েও জানান পার্থ। তিনি জানান, নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কমিশন নিজের নিয়ম নিজেই ভাঙছে। ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগে ওসি বদল করা হচ্ছে। ইভিএম নিয়েও সন্দেহ দেখা দিচ্ছে। পার্থ জানালেম মমতা প্রধানমন্ত্রী হলে বাংলার শান্তিময় পরিস্থিতি ঠিক উপযুক্ত নেতা তৈরি করে নেবে।’
বিজেপি–র রাজ্য সভাপতি তথা মেদিনীপুর লোকসভার বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ সম্পর্কেও রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থকে প্রশ্ন করা হয়েছিল। যার জবাবে তিনি বলেন, ‘উনি যতই শিক্ষার পরিকাঠামো নিয়ে বলুন, আমরা ফেল–করা ছাত্রদের পাশ করাতে পারব না। কোনও পরামর্শ থাকলে দিতে পারেন। কোথাও ভুল করে থাকলে তা নিয়ে আলোচনা হোক। দিলীপবাবুও আসুন। আগে স্কুলে শিক্ষক ছিল। ছাত্রছাত্রী ছিল না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির উদ্যোগে স্কুল এখন পড়ুয়াতে ভর্তি। কিন্তু এমএ ক্লাসে মহাভারত পড়াতে দেওয়া যাবে না।’
সব মিলিয়ে যেভাবে পার্থ বিজেপিকে কটাক্ষ করলেন তাতে আরও ব্যাকফুটে চলে গেল গেরুয়া শিবির৷ মমতার প্রতি সমর্থনের হাত যে আরও শক্ত হল তা বলাই বাহুল্য৷