আইপিএলের পর বিশ্বকাপেও খেলবেন তিনি। চলতি মরশুমের আইপিএলে আন্দ্রে রাসেল কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে দুরন্ত পারফরম্যান্স করেছেন। এবং তাঁর পারফরম্যান্স তাঁকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিশ্বকাপ দলে জায়গা করে দিয়েছে। ২০১৮ সালের জুলাইয়ে তিনি শেষবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে খেলেছিলেন। কিন্তু দ্বাদশ আইপিএলে রাসেল ১০টি ইনিংসে ৪০৬ রান করার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের নির্বাচকরা রাসেলকে দলে ফেরাতে বাধ্য হন।
জাতীয় দলে ফিরতে পেরে ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডারটি দারুন খুশি। তিনি বলেছেন, “আমি ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে খেলার জন্য মুখিয়ে রয়েছে। আইপিএলের মতো বিশ্বকাপেও ছক্কা হাঁকাতে চাই। এরকম পারফর্ম করে সেঞ্চুরিও করতে চাই আমি”।
ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, বিভিন্ন দেশের টি-২০ লিগ খেলে অর্থ উপার্জনের জন্য তাঁরা নাকি ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে চান না। তবে রাসেল এই অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, “আমরা নিজেদের প্রমাণ করার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন টি-২০ লিগে খেলে থাকি। সেটা দেশের হয়ে খেললে হত না। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড আমাদের সঙ্গে ভালো আচরণ করেনি। যে ব্যবহার আমাদের সঙ্গে করা হয়েছে, তা মোটেও আমাদের প্রাপ্য ছিল না। আমরা সব সময়ই ক্যারিবিয়ান দলের সদস্য ছিলাম, আছি। বোর্ডে পরিবর্তন এসেছে। আমরাও ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে ফেরার জন্য উদগ্রীব ছিলাম। ফিরে ভালো লাগছে”।
চোটের কারণে দীর্ঘসময় রাসেলকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বাইরে থাকতে হয়েছে। তিনি বলেছেন, “হাঁটুর ব্যাথা কমাতে আমি দু’টো ইনজেকশন নিয়েছিলাম। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি। আমি বেশ হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে মাঠের বাইরে বসে খেলা দেখা ছাড়া আমার কিছু করার ছিল না। বিশ্বকাপ দলে ডাক পেয়ে আমি মোটেও অবাক হইনি। চোট সারিয়ে মাঠে ফেরার পর থেকে আমি ভালো পারফর্ম করছি। তবে এখনই আমি বিশ্বকাপ নিয়ে ভাবছি না। আপাতত কেকেআরকে কীভাবে জেতাব, সেটাই মাথায় ঘুরছে। আমি বাকি ম্যাচগুলিতে নিজের সেরাটা দেওয়ার জন্য তৈরি”।