নরেন্দ্র মোদীর বিদেশ যাত্রায় কোটি কোটি টাকা খরচ হয়েছে। তবে সেগুলি ছিল সরকারি। এবার সামনে এল অসরকারি বিদেশ যাত্রার খরচের হিসাব। সেখানেও সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন মোদী। গত পাঁচ বছরে মোদীর ২৪০টি অসরকারি ডোমেস্টিক ট্রিপে খরচ হয়েছে ১.৪ কোটি টাকা। সম্প্রতি একটি আরটিআই রিপোর্টে প্রকাশ্যে এসেছে এই তথ্য।
তবে মোদীর এই ডোমেস্টিক ট্রিপের জন্য কি ধরণের বিমান ব্যবহার হয়েছে সেই তথ্য জানা যায় নি। জানা যায় নি ওড়ার সময়ও। আরটিআই-এর থেকে জানা গেছে কেবল যাত্রাপথ এবং একটি ট্রিপের মোট খরচের তালিকা। আর এই তালিকা মোটেই স্বচ্ছ নয়। অর্থাৎ ১.৪ কোটি ব্যয় কীভাবে হয় সেটা স্পষ্ট নয়।
প্রথমত, কিছু ক্ষেত্রে ভাড়ার মূল্য অত্যন্ত কম। যেমন চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি ‘নন অফিসিয়াল ডোমেস্টিক ট্রিপে’ ওড়িশার বালানগির থেকে পাথরচেরা গিয়েছিলেন মোদী। কিন্তু এই ট্রিপে খরচ দেখানো হয়েছে ৭৪৪ টাকা। ব্যাপারটা গোলমেলে। কারণ, এটা কোনও বিজনেস রুট নয়। তাহলে কীভাবে এই টাকা ধার্য করা হল, কোন পদ্ধতিতে খরচের হিসাব কষা হল, সেটা পরিষ্কার হচ্ছে না।
একইরকম ভাবে ২০১৭ সালের ২৭ এপ্রিল ছত্তিশগড়-সিমলা-অণ্ডাল-ছত্তিশগড় যাত্রা করেছিলেন মোদী। এই রুটের জন্য খরচ দেখানো হয়েছে ৮৪৫ টাকা। এই রুটের বানিজ্যিক বিমানে একপিঠের ভাড়াই ২,৫০০ থেকে ৫০০০ টাকা। তাহলে মোদীর যাত্রাপথের দুপিঠের খরচ ৮৪৫ টাকা হয় কীভাবে? অর্থাৎ পাঁচ বছরে যে খরচ ১.৪ কোটি দেখানো হয়েছে সেটা স্বচ্ছ নয়।
গত বছর মেঘালয়, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়ের মতো বেশ কয়েকটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হয়েছিল। বিজেপির প্রচারের জন্য সেই সব রাজ্যে ঘুরে বেড়িয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এর মধ্যে গত বছর সবচেয়ে বেশীবার নন অফিসিয়াল ডোমেস্টিক ট্রিপে মোদী বেরিয়েছিলেন নভেম্বর মাসে। ১৩ দিনে করেছেন ২৫টি ট্রিপ। ঘুরেছেন ছত্তিশগড়, উত্তরপ্রদেশ, কর্নাটক, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান, মিজোরাম এবং তেলেঙ্গানায়। তবে সবচেয়ে বেশী খরচ হয়েছে ৩৭ দিনে করা ৬৯ ট্রিপে। ইন্ডিয়ান এয়ার ফোর্সকে এজন্য বিজেপি দিয়েছে ৩৯.৫ লাখ টাকা।
আরটিআই-এর তরফে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর এই নন অফিসিয়াল ডোমেস্টিক ট্রিপের জন্য ব্যবহৃত ইন্ডিয়ান এয়ার ফোর্সের বিমানের যাবতীয় খরচ বহন করেছে বিজেপি। না সরকার নয়, বিজেপি।