ঘরের মাঠে জয় পেল না চেন্নাই। শুক্রবার চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কাছে ৪৬ রানে হেরে গেল চেন্নাই সুপার কিংস। আরও একবার ধোনি না থাকার ফল ভুগতে হল গোটা দলকে। এর থেকে ফের প্রমাণ হল একটা গোটা দলে শুধু মাত্র একজনের ওপর নির্ভরশীলতার ফল কিভাবে গোটা দলকে ভুগতে হয়।
পাওয়ার প্লে-তে মুম্বই তুলেছিল ৪৫-১। চেন্নাইয়ের রান প্রথম ছয় ওভারে ছিল ৪০-৩। এত দিন চিপকের মন্থর পিচে চেন্নাইয়ের স্পিনাররাই তুরুপের তাস হয়ে দাঁড়াচ্ছিলেন। এ দিন সেই চেন্নাই বোলিংয়ের বিরুদ্ধে একা কুম্ভ হয়ে লড়লেন রোহিত। ৬৭ রানের ইনিংসে ছিল ছ’টি চার ও তিনটি বিশাল ছক্কা। শেষ দিকে হার্দিক পাণ্ড্য (১৮ বলে অপরাজিত ২৩ রান) ঝটিকা ইনিংস খেলায় মুম্বইয়ের রান দেড়শো ছাড়ায়। পাল্টা রান তাড়া করতে নেমে মুরলী বিজয় (৩৮), ডোয়েন ব্র্যাভো (২০) ও মিচেল স্যান্টনার (২২) বাদে কেউ দুই অঙ্কের রানে পৌঁছতে পারেননি।
চলতি আইপিএলে ওপেনার হিসেবে গতকাল প্রথম হাফসেঞ্চুরিও মুম্বই ইন্ডিয়ানস অধিনায়ক রোহিত শর্মা। রোহিত রানে ফিরলেন। আর বল হাতে ৩.৪ ওভারে ৩৭ রানে চার উইকেট নিয়ে মুম্বইয়ের জয় সুনিশ্চিত করেন লাসিথ মালিঙ্গা। যোগ্য সহায়কের ভূমিকা নিলেন যশপ্রীত বুমরা (২-১০), ক্রুণাল পাণ্ড্য (২-৭)। এ দিনই মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে অভিষেক ঘটানো ঝাড়খণ্ডের বাঁ হাতি স্পিনার অনুকূল রায়ও নিলেন এক উইকেট। তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল মহেন্দ্র সিংহ ধোনিহীন চেন্নাই সুপার কিংস। মাত্র ১০৯ রানেই শেষ রায়নাদের লড়াই।
শুক্রবার রোহিত শর্মার দলের বিরুদ্ধে জেতা যায় কি না, তা দেখতে মুখিয়ে ছিল সিএসকে সমর্থকেরা। কিন্তু তাঁদের মাঠ ছাড়তে হল প্রিয় দলের ৪৬ রানে ম্যাচ হারের যন্ত্রণা নিয়ে। এখনও ১২টি ম্যাচ খেলে, আটটি জিতে ১৬ পয়েন্ট পেয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষে আছে সিএসকে। ১১টি ম্যাচ খেলে, সাতটি জিতে ১৪ পয়েন্ট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। তৃতীয় স্থানে আছে দিল্লি ক্যাপিটালস্।