জেলার সদর শহর সিউড়ি অথবা বাণিজ্য শহর দুবরাজপুর থেকে প্রতিদিন প্রচুর মানুষ চাকরি, ব্যবসা, চিকিৎসা, পড়াশোনা প্রভৃতি নানা কাজে দুর্গাপুর ও আসানসোল শিল্পাঞ্চলে যাওয়া–আসা করেন। দুবরাজপুর পাওয়ার হাউস মোড়ে রাস্তা দু’ভাগ হয়েছে। একদিকে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে যাওয়া যায় পাণ্ডবেশ্বর, রানিগঞ্জ, আসানসোল। আর একদিকে জয়দেব মোড়, ইলামবাজার হয়ে পানাগড় ও দুর্গাপুর। সিউড়ি থেকে দুর্গাপুর বা আসানসোল, যেদিকেই যান, দুবরাজপুর পাওয়ার হাউস মোড় ছুঁয়ে যেতে হবে। মমতার ছোঁয়াতে বদলে গেছে এই এলাকা। এমনকি বিরোধীরাও স্বীকার করছেন এই সব এলাকা ভরে গেছে মমতার উন্নয়নে।
তৃণমূলের আমলে এখানে উন্নয়ন যে হয়েছে, এটা বিরোধী দলের সমর্থকরাও অস্বীকার করতে পারছেন না। তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায় বললেন, ‘২০০ শতাংশ নিশ্চিত, আমি জিতছি এবং হ্যাটট্রিক করছি।’ জয়ের ব্যাপারে এত নিশ্চিত হওয়ার কারণ? শতাব্দীর কথায়, ‘উন্নয়ন আর সংগঠনের সুন্দর যুগলবন্দির জোরেই আমরা জিতব। শহর থেকে গ্রাম সব জায়গায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কন্যাশ্রী, সবুজসাথী, রূপশ্রী, যুবশ্রী, কৃষকবন্ধু, ফসলবিমা প্রভৃতি বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্পের মাধ্যমে মানুষের প্রচুর উপকার করেছেন। রাস্তাঘাট, সেতু, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি প্রভৃতি সবক্ষেত্রেই ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। তাই মানুষ এই উন্নয়নের পক্ষেই ভোট দেবেন। অন্যদিকে, অনুব্রত মণ্ডলের নেতৃত্বে জেলায় সংগঠন এখন অনেক বেশি শক্তিশালী।’
এলাকার এক বাসিন্দা জানালেন, “ বর্ষার প্লাবনের সময় অজয়, শাল ও হিংলো নদীর জল সড়কের ওপর দিয়ে বয়ে যায়। সেই সময় সিউড়ি, দুবরাজপুর এলাকার মানুষের কাছে আসানসোল, দুর্গাপুর, রানিগঞ্জ যাওয়া রীতিমতো বিভীষিকা। মানুষের দুর্ভোগ দূর করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার অজয় নদের ওপর জয়দেব–কেন্দুলিতে ১৬৫ কোটি টাকায় একটি বড় সেতু গড়ছে। ইলামবাজারে অজয়ের ওপর বর্তমান সেতুটি দুর্বল হয়ে পড়ায় তার পাশেই ১১৫ কোটি টাকায় আরও একটি নতুন সেতু তৈরির কাজ পুরোদমে চলছে। এছাড়া আসানসোল রানিগঞ্জ যাওয়ার ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে খয়রাশোলে শাল ও হিংলো নদীর ওপরও দুটি সেতু তৈরি হচ্ছে। তাই মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নের সদিচ্ছা নিয়ে কোনও কথা হবে না।’ রামপুরহাটের জমজমাট ভাড়শালা মোড়ের তেলেভাজার দোকানের আড্ডায় এক যুবকের মুখেও একইভাবে শোনা গেল মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নের জয়গান। তাঁর কথায়, ‘তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর তারাপীঠ–রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদ তৈরি হয়েছে। তারাপীঠের চেহারায় আমূল পরিবর্তন ঘটেছে।’