লোকসভা নির্বাচন এখন মধ্য গগনে। আর সেখানেই সব দল তাঁদের উজাড় করে দিচ্ছে। জনসংযোগ বাড়ানো জন্য না হাতিয়ার বেছে নিচ্ছে। কিভাবে প্রত্যেক ভোটারের কাছে পৌঁছে যাওয়া যায় তাঁর ছক কষতে ব্যস্ত। সেখানে নতুন পদ্ধতির পাশাপাশি পুরোনো রীতিও কাজে লাগাচ্ছে। প্রচারের অন্যতম হাতিয়ার ফোন।
মোবাইল ফোনে প্রচার বার্তা পাঠিয়ে ভোটারের আরও কাছে পৌঁছনোর পন্থা বহুল জনপ্রিয়। তার ফায়দা তুলেছে বহু রাজনৈতিক দল। তবে এবারের লোকসভা ভোটে জনসংযোগের ক্ষেত্রে ফোনালাপের রাস্তায় হাঁটছে না তৃণমূল। কেন সেই রাস্তায় জনসংযোগ নয়? তার অন্যতম কারণ হিসাবে তৃণমূলের ব্যাখ্যা, কারও গোপনীয়তায় অনুপ্রবেশ নয়। তাই ভোটারদের দোরে দোরে পৌঁছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় জনসংযোগের মাধ্যমে ভোট বৈতরণী পার করবে ঘাসফুল শিবির।
কোনোভাবেই কারও ব্যক্তিগত জীবনে হস্তক্ষেপ করতে নারাজ তৃণমূল। দলীয় সূত্রে খবর, ফোনে বার্তা পাঠানো, ভয়েস মেসেজ এসমস্ত জনসংযোগের পদ্ধতি এখন সোশ্যাল মিডিয়া নির্ভর প্রচারের যুগে ভোটারদের বিব্রত করে। তৃণমূলের বক্তব্য, ভোটারদের কোনওমতেই বিরক্ত বা বিব্রত করার রাস্তায় হাঁটতে চাইছে না দল। অনেকসময় বারবার ফোন এলে সাধারণ মানুষের ব্যক্তিগত জীবনে ব্যাঘাত ঘটে। তাই বাড়ি বাড়ি প্রচারে গিয়ে ভোটারদের সঙ্গে প্রত্যক্ষ জনসংযোগেই জোর দিচ্ছে তৃণমূল।
প্রসঙ্গত, আধার ইস্যুতে কেন্দ্রের নীতির বিরুদ্ধে সর্বপ্রথম সরব হয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাধারণ মানুষের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষার জন্য সওয়াল করেছিলেন। বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পরিষেবা প্রদানের ক্ষেত্রে আধার বাধ্যতামূলকের বিষয়েও আপত্তি জানিয়েছিলেন মমতা। কেন্দ্রকেও তোপ দেগেছিলেন তিনি। জনসংযোগের ক্ষেত্রেও ফোন করে প্রচারের বিষয়টিকেও ভোটারের ব্যক্তিগত জীবনে হস্তক্ষেপ করা হিসাবেই ধরছে দল।