গত ১১ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচন। সাত দফা ভোটের প্রথম তিন দফা পেরিয়ে গেলেও এখনও দেশের কোথাওই দেখা নেই মোদী লহরের। এরই মধ্যে দিবারাত্রি এখন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘জুজু’ দেখছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মনোনয়নপত্র জমার আগে সভা বারাণসীতে। কিন্তু বারাণসীর সেই সভা থেকেও মোদীর টার্গেট বাংলা! যা দেখে চমকেছেন রাজনীতির পর্যবেক্ষকরাও। তবে এ নিয়ে ইতিমধ্যেই পাল্টা সুর চড়িয়েছেন বাংলার বাঘিনী। তাঁর সাফ কথা, বাংলায় গোহারা হারের ভয় পেয়েছেন বলেই, মোদী সবসময় বাংলাকে আক্রমণ করছেন।
প্রসঙ্গত, তৃণমূলনেত্রীর পাখির চোখ দিল্লীর মসনদ। এবার দেশে পরিবর্তনের ডাক দিয়েছেন তিনি। মোদী সরকারকে হঠাতে দেশের আঞ্চলিক দলগুলিকে নিয়ে তৈরি ইউনাইটেড র্যালির তিনিই অন্যতম প্রধান কাণ্ডারী। তাঁর গলায় একদিকে দিল্লী দখলের ডাক, আরেকদিকে বাংলায় তাঁর লক্ষ্য ৪২-এ বিয়াল্লিশ। তবে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের স্বপ্ন আবার বাংলার অন্তত তেইশটি আসনে পদ্ম ফোটানো। কিন্তু প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর রাজ্য বিজেপির অন্দরে যে গোষ্ঠীকোন্দল শুরু হয়েছে, তাতে শাহের স্বপ্ন এখন সোনার পাথরবাটি। তবে বিপদ বুঝেই ড্যামেজ কন্ট্রোলে বার বার এ রাজ্যে ছুটে আসছেন মোদী। নিশানা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
কিন্তু অবস্থা এমনই গুরুতর যে এ রাজ্যে বিজেপির হারার আশঙ্কা থেকেই মোদীর মাথায় চেপে বসেছে বাংলার কথা। যেখানেই যাচ্ছেন বাংলার কথাই বলছেন। মমতাকেই গালমন্দ করছেন। এ যে প্রবল ভয় ছাড়া কিছুই নয়, তা বুঝতে বাকি নেই কারও। এই কারণেই শুক্রবার, নিজের কেন্দ্র বারাণসীতে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগে সভা করে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকেই নিশানা করেন মোদী। বারাণসীতে, যেখানে তৃণমূলের কোনও প্রার্থীই নেই, প্রতিপক্ষ অন্য, সেখানেও কংগ্রেস বা মহাজোট প্রার্থীকে না বিঁধে তাঁর গলায় তৃণমূল বিরোধীতার সুর! যা থেকে এ কথাও স্পষ্ট যে গোটা দেশের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে মমতাকেই প্রধান প্রতিপক্ষ মনে করছেন চৌকিদার।