গত বছরই ‘ব্যাডমিন্টন এশিয়া’ থেকে দু’টি পদক জিতেছিল ভারত। দু’টিই অবশ্য ব্রোঞ্জ পদক। জিতেছিলেন সাইনা নেহওয়াল ও এইচ এস প্রণয়। কিন্তু এ বার কার্যত খালি হাতে ফিরছে ভারতীয় দল৷ গতকাল এশীয় ব্যাডমিন্টনের আসর থেকে একই সঙ্গে বিদায় নিলেন সিন্ধু এবং সাইনা এবং সমীর বর্মণ৷
ভারতীয় দলের কোচ গোপীচন্দ কিন্তু সাইনা, সিন্ধুদের হারের জন্য দায়ী করলেন এত বড় একটা প্রতিযোগিতার আগে প্রস্তুতির যথেষ্ট সময় না পাওয়াকে। সব অর্থেই ২০১৯ সালটা ভারতীয় ব্যাডমিন্টন তারকাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটাই টোকিয়ো অলিম্পিক্সে যোগ্যতা অর্জনের বছর।
কোয়ার্টার ফাইনালে সিন্ধুর খেলা ছিল উনিশ বছরের চিনা কিশোরী কাই ইয়ানইয়ানের সঙ্গে। যে ম্যাচে পুল্লেলা গোপীচন্দের ছাত্রী চূড়ান্ত ব্যর্থ হলেন। কাই ম্যাচ জিতে নিলেন মাত্র ৩১ মিনিটে। সিন্ধু হারলেন ১৯-২১, ৯-২১ লে। প্রথম গেমে তাও কিছুটা লড়েছিলেন ভারতীয় তারকা। কিন্তু সেটা কাইয়ের অগ্রগতি থামিয়ে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট ছিল না। আর দ্বিতীয় গেমে সিন্ধু তো দাঁড়াতেই পারলেন না। তাঁর মতো বড় তারকাকে ৯ পয়েন্টে দাঁড় করিয়ে গেম এবং ম্যাচ জিতে নেওয়া কাইয়ের জীবনের সম্ভবত সব চেয়ে বড় সাফল্য।
ভারতীয় শিবিরে প্রথম ধাক্কাটা আসে অবশ্য সমীরের পরাজয় দিকে। কোয়ার্টার ফাইনালের লড়াইয়ে দ্বিতীয় বাছাই চিনের শি ইউকি-র বিরুদ্ধে কার্যত তিনি দাঁড়াতেই পারেননি। বিশ্রী ভাবে ম্যাচ হেরে যান ১০-২১, ১২-২১ ফলে।
সাইনাকে খেলতে হল জাপানের আকানে ইয়ামাগুচির সঙ্গে। প্রথম গেম তিনি ১৩-২১ হেরে যান। দ্বিতীয় গেমে দারুণ ভাবে ম্যাচে ফিরে ২৩-২১ জেতেন। তাও ৬-৯ পিছিয়ে থাকা অবস্থা থেকে। সেখান থেকে ১৮-১৪ এগিয়ে যান। পিছিয়ে পড়ে ইয়ামাগুচি চেষ্টা করেও সাইনার বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টের লড়াইগুলোয় পেরে ওঠেননি। তৃতীয় গেমেও সাইনা শুরুতেই ৬-১ এগিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু ইয়ামাগুচি তার পর থেকেই দারুণ ভাবে ঝাঁপিয়ে পড়েন। তাতে হতচকিত সাইনা বিশেষ কিছু জবাব দিতে পারেননি। ১১-১৪ পিছিয়ে থেকেও টানা ছ’টি পয়েন্ট জিতে ১৭-১৪ এগিয়ে যান ইয়ামাগুচি। সেখান থেকে সাইনা আর দু’টির বেশি পয়েন্ট তুলতে না পারায় আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হন।