প্রচারের প্রথম দিন থেকেই সাধারণ মানুষের বিপুল সাড়া পাচ্ছেন আসানসোলের তৃণমূল প্রার্থী মুনমুন সেন। যেখানেই প্রচারে যাচ্ছেন মানুষ বিপুল ভাবে সমর্থন জানাচ্ছেন তাঁকে। জয় যে কার্যত সময়ের অপেক্ষা তা একবাক্যে স্বীকার করছেন সকলেই।
এবার আসানসোল উত্তর ধাদক এলাকায় প্রচার সারলেন মুনমুন। একাধিক জনজাতি, ভাষাভাষীর মানুষের বাস আসালসোলে৷ সেজন্যই এলাকাভিত্তিক প্রচারের ভিন্ন ভিন্ন কৌশল ব্যবহার করছে তৃণমূল নেতৃত্ব৷ বৃহস্পতিবার হিন্দিভাষী প্রবণ আসালসোল উত্তর এলাকার প্রচারে প্রধান আকর্ষণ হিসাবে রাখা হয় বিখ্যাত ভোজপুরী গায়ক ছ্যায়লা বিহারীকে৷ তিনি মঞ্চে উঠতেই আনন্দে মেতে ওঠেন সভায় উপস্থিত তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা৷ গান গাইতে গাইতে প্রার্থী মুনমুনকে তাঁর সঙ্গে তাল মেলানোর আহ্বান জানান ছ্যায়লা৷ সেই অনুরোধ ফেলতে পারেননি প্রার্থী৷ কয়েক সেকেন্ডের জন্যে নাচ করেন তিনি। হাততালিতে ফেটে পড়ে চারপাশ।
মুনমুন সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, “ আমাকে আপনারা জেতান আমি কথা দিচ্ছি এখানকার যাবতীয় সমস্যার কথা সংসদে তুলে ধরব। আমি জানি এখানে কোনও কাজ হয়নি, ওরা কথা দিয়েও কথা রাখতে পারেনি। এবার আপনাদের সমস্ত সমস্যার সমাধান হবে”।
অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা ঘিরে গতকাল প্রবল উন্মাদনা দেখা গেল গোটা আসানসোল জুড়ে। তিনি আসবেন তাই কর্পোরেট অফিসে চাকরিরত আজকের প্রজন্মের ছেলে মেয়েরা গলায় কার্ড ঝুলিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন রাস্তার ধারে। মুর্গাসোল এলাকায় অন্যদিন চারটের পর অফিস ছুটি হয়ে যায়। আজ তাঁরা দাঁড়িয়ে আছেন রাস্তার ধারে, বহুতল বিল্ডিং এর ছাদে, ব্যালকনিতে। একবার চোখের দেখা দেখবেন জননেত্রীকে। হাত মেলাবেন। সেলফি তুলবেন। এতটাই জনপ্রিয়তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের, বাংলা নবরূপকারের। তিনি স্বপ্ন দেখাতে পারেন। বাস্তবরূপ দিতে পারেন। সেই সোনালী স্বপ্নের রূপকার জননেত্রী মিশে গেলেন মানুষের সঙ্গে। স্বাধীনতার পর কোনও মুখ্যমন্ত্রীকে আসানসোলের রাজপথে হাঁটতে দেখেননি কেউ। পাঁচ কিলোমিটার রাস্তা তিনি হনহন করে হেঁটে গেলেন। মুখে হাসি একটুও বিরক্তি নেই। পাল্লা দিয়ে ছুটতে হিমশিম খাচ্ছেন পুলিশ কর্মীরাও। পিছিয়ে পড়ছেন তৃণমূল নেতারাও।