যুব তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সবসময়েই বলেন, “নারীশক্তি যাঁদের সঙ্গে থাকেন তাঁদের কেউ রুখতে পারে না”। আর তৃণমূলের সঙ্গে রয়েছে বিপুল প্রমীলা বাহিনী। সকলেই সংসারের কাজ সামলে যোগ দিচ্ছেন প্রচারে। ঠিক যেমন ভাবে ঘাটালের প্রার্থী দেবকে জেতাতে ঝাঁপিয়ে পড়েছে চার মহিলার দল।
তাঁদের কেউ বলেন মহিলা ব্রিগেড, কেউ বলেন মুখ্যমন্ত্রীর নারীশক্তি। তাঁরা হলেন ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের ৪ মহিলা বিধায়ক। সবংয়ের গীতারানি ভুঁইয়া, দাসপুরের মমতা ভুঁইয়া, কেশপুরের শিউলি সাহা ও ডেবরার সেলিমা খাতুন। ৪ জনই জোরকদমে প্রচার চালাচ্ছেন যাতে এবার তৃণমূলের তারকা প্রার্থী দেব ওরফে দীপক অধিকারীর মার্জিন ২ লক্ষ ৬০ হাজার থেকে বেড়ে ৩ লক্ষ ছাড়িয়ে যায়। আর সেইজন্য কোমর বেঁধে নেমেও পড়েছেন চারমূর্তি।
কিন্তু কেন তাঁরা দেবের মার্জিন বাড়াতে চাইছেন? এই প্রশ্নের উত্তরে ৪ বিধায়কের উক্তি, “দেব ভাল মানুষ। কাজের মানুষ। ঘাটালের জন্য অনেক করেছেন। মাস্টার প্ল্যান, লোয়াদা সেতু–সহ আরও অনেক উন্নয়নমূলক কাজ তিনি করবেন”। তাঁরা আরও একটি বার্তা দিতে চাইছেন। তা হল, ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন দুর্নীতিগ্রস্ত পুলিশ অফিসার ভারতী ঘোষ। তাই তাঁকে বিশাল ব্যবধানে হারাতে চান তাঁরা।
নিপাট গৃহবধূই হোক, অথবা কলেজ পড়ুয়া কন্যাশ্রী, নির্দ্বিধায় পা মেলাচ্ছেন গীতা, সেলিমা, শিউলি, মমতার মিছিলে। মানস ভুঁইয়ার স্ত্রী গীতারানি ভুঁইয়া আগলে রেখেছেন সবং বিধানসভা এলাকাকে। লক্ষ্য দেবের মার্জিন বাড়ানো। ২০১৪ সালে কেশপুরে দেব যত ভোট পেয়েছিলেন, এবার তা আরও বাড়বে বলে দাবি শিউলি সাহার। দাসপুরের চিত্রটাও একই। দিনরাত এক করে প্রচার চালিয়ে মমতা ভুঁইয়া একটাই কথা বলছেন, ‘দেবের মার্জিন বাড়াতে হবে।’ ডেবরার সেলিমা খাতুন প্রচারে পেয়েছেন কলেজ পড়ুয়াদের।
সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কখনও পায়ে হেঁটে বুথে বুথে প্রচার, কখনও বাড়ি বাড়ি প্রচার, কখনও কর্মিসভা, আবার কখনও প্রার্থীকে নিয়ে জনসভা বা রোড শো। সব কিছুতেই সাবলীল তাঁরা। মহিলা বিধায়ক থাকায় প্রচারে বেশি করে অংশ নিচ্ছেন এলাকার মহিলা কর্মীরাও। আসছেন সাধারণ মহিলারাও। তাই মনোবল বাড়ছে। বাড়ছে ভোটের অঙ্ক। এই ৪ প্রমীলা যেভাবে দেবের জন্যে লড়ছেন তাতে জয় কার্যত সময়ের অপেক্ষা।