উলুবেড়িয়া কেন্দ্রের তৃণমূলের প্রার্থী সাজদা আহমেদের সমর্থনে বুধবার বাগনানে ও চেঙ্গাইলে দুটি নির্বাচনী জনসভায় অংশ নিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন বাংলায় দাঙ্গাবাজদের কোনও স্থান নেই।
সাম্প্রদায়িক ইস্যুতে বিজেপি–র বিরুদ্ধে সরব হন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ। সভায় তিনি বলেন, ‘তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে উন্নয়নের যে জোয়ার চলছে, তা দেখেই মানুষ এবার তাঁকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পেতে চাইছেন। তাঁরা বুঝতে পেরেছেন, মমতা ব্যানার্জির নেতৃত্বে বাংলা এগিয়ে গেলেও ভারত সে ভাবে এগোতে পারেনি। এর কারণ, ভারতের ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। তাই শুধু বাংলাই নয়, ভিন রাজ্যের মানুষও এখন দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই।। সারা দেশেই তাঁর উন্নয়নের মডেল যাতে ছড়িয়ে পড়ে, সেইজন্যই মানুষ মমতাকে প্রধানমন্ত্রী পদে বসাতে চাইছেন গোটা দেশের মানুষ। আর সেটা বুঝতে পেরেই কিছু লোক বাইরে এই রাজ্যে এসে দাঙ্গা লাগিয়ে দিতে চাইছে। ধর্মের ভিত্তিতে মানুষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতে চাইছে। কিন্তু তারা বাংলার সংস্কৃতিকে জানে না। তাই তাদের এই অপচেষ্টার ফল তারা ২৩ মে পেয়ে যাবেন। যারা গুজরাটে দাঙ্গা লাগিয়েছিল, তারাই আজ দেশের অন্যান্য জায়গায়ও দাঙ্গা লাগাতে চাইছে। দেশের মানুষই তাদের যোগ্য জবাব দিয়ে দেবেন।’
ফিরহাদ মনে করেন, ‘বাংলার মানুষ দেখছেন কংগ্রেস আর সিপিএম এখন এই রাজ্যে সাইনবোর্ডে পরিণত হয়ে গেছে। তাই এই অবস্থায় সাম্প্রদায়িক বিজেপিকে বাংলার মানুষ কোনওভাবেই স্থান দেবে না। সে কথা উল্লেখ করে তিনি বিজেপি–কে আক্রমণ করে বলেন, ‘মুখে যতই রাম নাম করুক, এবার তাদের ‘রাম নাম সত্য’ হওয়ার সময় এসে গেছে। জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিয়ে তারা সাম্প্রতিকতা ছড়াতে চাইছে। রামের নাম ব্যবহার করে তারা দাঙ্গা লাগাতে চাইছে’।
ফিরহাদের কথায়, ‘প্রধানমন্ত্রী মোদী দেশের মানুষকে ধোঁকা দিয়েছেন।’ তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘আচ্ছে দিন কোথায় গেল? বছরে দু’ কোটি চাকরি কোথায় হল? মাথা পিছু ১৫ লক্ষ টাকা কোথায় গেল? ফিরহাদ স্পষ্ট বলেন, ‘আসলে পুরোটাই ভঁাওতা। আর সেই ভাঁওতার জবাবও এবার বিজেপি পেয়ে যাবে।’
গতকালের এই সভায় উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী নির্মল মাজি, বিধায়ক পুলক রায়, যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি (গ্রামীণ) সুকান্ত পাল, তুষার শীল প্রমুখ। এই সভায় যে বিপুল পরিমানে মানুষ উপস্থিত ছিলেন তা ফের বুঝিয়ে দিল বাংলা আছে মমতার পাশেই।