এশীয় ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নশিপ এমন এক মঞ্চ যেখানে ৫৪ বছর ভারতের কোনও সোনা নেই। শেষ সোনা এসেছিল ১৯৬৫ সালে। ভারতের দীনেশ খন্না সে বার এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে পুরুষদের সেরা হয়েছিলেন৷ এবার সেই খরা কাটাতে গতকাল প্রতিযোগীতায় নেমেছিলেন পি ভি সিন্ধু এবং সাইনা নেহওয়াল এবং কিদম্বি শ্রীকান্ত। সিন্ধু, সাইনা জিতলেও প্রথম রাউন্ডেই বিদায় নিলেন শ্রীকান্ত।
তবে পুরুষ বিভাগে শ্রীকান্ত হেরে গেলেও সমীর বর্মা কিন্তু জিতেছেন। ২১-১৩, ১৭-২১, ২১-১৮ ফলে তিনি হারান জাপানের সাকাই কাজ়ুমাসাকে। প্রথম গেম দাপট নিয়ে জিতলেও জাপানের প্রতিপক্ষ কাজ়ুমাসা দ্বিতীয় গেম জিতে নেওয়ায় নাটকীয় মোড় নেয় এই ম্যাচ। তবে তৃতীয় গেমে প্রাধান্য ছিল সমীরেরই। লড়াই শেষ হয় প্রায় এক ঘণ্টা সাত মিনিটে।
চিনের উহানে এশীয় ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম রাউন্ডে জাপানের তাকাহাসি সায়াকার বিরুদ্ধে সিন্ধু জিতলেন অনায়াসে। ২১-১৪, ২১-৭ ফলে জিততে তাঁর লাগল মাত্র ২৮ মিনিট। প্রতিযোগিতায় চতুর্থ বাছাই সিন্ধু দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলবেন ইন্দোনেশিয়ার চোইরুন্নিসার বিরুদ্ধে।
বিশ্বের ন’নম্বর এবং এই প্রতিযোগিতার সপ্তম বাছাই সাইনাকে প্রথম রাউন্ডের বাধা পেরোতে প্রচুর কাঠখড় পোড়াতে হল। তাঁর খেলা ছিল চিনের হ্যান ইউ-র সঙ্গে। প্রথম গেম তিনি বিশ্রী ভাবে ১২-২১ হেরে যান। অবশ্য পরের দু’টি গেমে দারুণ ভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে জেতেন ২১-১১, ২১-১৭ ফলে। লন্ডন অলিম্পিক্সের ব্রোঞ্জ পদকজয়ী সাইনাকে এ বার দ্বিতীয় রাউন্ডে লড়তে হবে দক্ষিণ কোরিয়ার কিম গা ইউনের সঙ্গে।
প্রথম রাউন্ডেই হেরে বিদায় নিলেন পুরুষ বিভাগে ভারতের প্রধান ভরসা কিদম্বি শ্রীকান্ত। ভারতীয় তারকার হারটা প্রতিযোগিতার একটা বড় অঘটন। কারণ তাঁকে হারিয়েছেন বিশ্বের ৫১ নম্বর খেলোয়াড় ইন্দোনেশিয়ার শেসার হিরেন রুস্তাভিতো। তাও মাত্র ৪৪ মিনিটে। শ্রীকান্ত হারেন ১৪-২১, ২০-২২। মজা হচ্ছে, বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে এতটা পিছিয়ে থাকা রুস্তাভিতোর কাছে শ্রীকান্ত কিন্তু দু’বার খেলে দু’বারই হারলেন। তবে প্রথম বার দু’জনে মুখোমুখি হয়েছিলেন সেই ২০১১ সালে জুনিয়র বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে। সে বার শ্রীকান্ত হেরে যান তিন গেমে খেলে। এমনিতে এই মরসুমে বেশ ভাল খেলছিলেন শ্রীকান্ত। ইন্ডিয়া ওপেনে তিনি ফাইনালিস্ট। মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুর ওপেনে কোয়ার্টার ফাইনালে খেলেছিলেন। তাই এশীয় আসরে তাঁর কাছে প্রচুর প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু তিনি শেষ পর্যন্ত হতাশই করলেন