বুধবার হাওড়া আদালত চত্ত্বর উত্তাল হয়ে উঠেছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। প্রয়োজনে লাঠিচার্জ করতে হয় পুলিশকে। আর তার জেরেই অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ডাক দিলেন হাওড়া আদালতের আইনজীবীরা। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। শুধু হাওড়া আদালত নয়, জেলার অন্যান্য আদালত, ব্যাংকশাল কোর্ট ও আলিপুর কোর্টের মতো জায়গাতেও আজ কর্মবিরতি পালন করছেন আইনজীবীরা।
প্রসঙ্গত, বুধবার সকালে গাড়ি পার্কিং নিয়ে হাতাহাতি শুরু হয় আইনজীবী ও পুরকর্মীদের মধ্যে। ঘটনায় আহত হন ৫ আইনজীবী। দু’পক্ষের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হাওড়া পুরসভা ও আদালত চত্বর। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে ঘটনাস্থলে যায় হাওড়া থানার পুলিশ। নামানো হয় ব়্যাফ। অভিযোগ, তাঁদের সামনেও হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে দু’পক্ষ। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এরপর বেলা আড়াইটে নাগাদ পুরকর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন আইনজীবীরা। ঘটনাস্থলে গিয়ে অশান্তি মিটিয়ে নেওয়ার জন্য আইনজীবীদের নির্দেশ দেন বার কাউন্সিলের আধিকারিকেরা। কিন্তু তাতে কোনো ফল হয় নি। বিকেলে আবার রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে আদালত চত্ত্বর। আর পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে পুলিশকে লাঠিচার্জ ও কাদানে গ্যাস ছোঁড়া হয়। আর এই প্রতিবাদেই এই কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত আইনজীবীদের।
এদিকে, আইনজীবীদের এই কর্মবিরতিতে সমস্যায় পড়েছেন বিচারপ্রার্থীরা। আইনজীবীরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, এই ঘটনার সুরাহা না হওয়ার পর্যন্ত কোনও কাজ তাঁরা করবেন না। ফলে পিছিয়ে যেতে চলেছে সমস্ত মামলা। এমনকী এই কর্মবিরতির কারণে কলকাতা হাই কোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে পিছিয়ে গেল বিমল গুরুং ও রোশন গিরির আগাম জামিনের আবেদনের শুনানি। সব ঠিক থাকলে আগামিকাল মামলার শুনানি হতে পারে।