আজই ভাটপাড়ার তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর আজ থেকেই প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়লেন মদন মিত্র। হ্যাঁ, কামব্যাকের দিনই প্রচারের ঝোড়ো ইনিংস খেললেন রাজ্যের প্রাক্তন ক্রীড়া ও পরিবহণ মন্ত্রী। এদিন দুপুরে বীরভূমের সিউড়ির জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মদনকে ভাটপাড়ার প্রার্থী ঘোষণা করার পরেই বিন্দুমাত্র সময় নষ্ট না করে অনুগামীদের সঙ্গে নিয়ে ভাটপাড়ার জুটমিলে পৌঁছে যান তিনি। কথা বলেন সেখানকার মানুষদের সঙ্গে।
উল্লেখ্য, ভোটের টিকিট নিয়ে অসন্তোষের জেরে ভাটপাড়ার বিধায়ক অর্জুন সিং দলত্যাগ করে বিজেপিতে যোগ দেন। পাশাপাশি তাঁকেই ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করে বিজেপি। এর জন্য বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন অর্জুন। যার ফলে ভাটপাড়া বিধানসভা আসনটি বিধায়ক শূন্য হয়ে পড়ে। এবার সেই ভাটপাড়া বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনে মদন মিত্রকে প্রার্থী করলেন দলনেত্রী। আর তারপরেই স্বমহিমায় দেখা গেল তাঁকে।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন ধরেই দলের অন্দরে গুঞ্জন চলছিল ভাটপাড়া বিধানসভা উপনির্বাচনে তাঁকে প্রার্থী করা হতে পারে। অবশেষে সত্যি হল সেই খবর। তিনি যে প্রার্থী, ফোনে সেই খবর পেতেই ভাটপাড়া যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হতে শুরু করেন মদন। এর মধ্যেই একটা ফোন আসে তাঁর কাছে। ফোনে জানতে পারেন, বিজেপির ছেলেরা দমদমে ঝামেলা করছে। আর তারপরেই পুরনো মেজাজে ফিরলেন মদন। সঙ্গে সঙ্গে ফোন করে সৌগত রায়কে বলেন, ‘সৌগতদা পুলিশকে বলুন। বিজেপির ছেলেরা তো বাড়াবাড়ি করছে।’
এরপর ফোন রেখেই একগাল হাসি খেলে গেল মদন মিত্রের মুখে। রাখঢাক না করেই বললেন, ‘এ যেন কোটি টাকার লটারি পেয়েছি মনে হচ্ছে। যেভাবে সভা থেকে উনি নাম ঘোষণা করলেন তাতে আমি সম্মানিত। আমি গর্বিত।’ দলের নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করার কথাও জানান কামারহাটির প্রাক্তন বিধায়ক। সেইসঙ্গে দলনেত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে ভুললেন না ‘অনুগত সৈনিক’ মদন মিত্র। বলেন, ‘আমাকে যে বিস্মৃতির জায়গা থেকে তুলে এনে সামনে রাখলেন, তার জন্য ধন্যবাদ।’
তিনি আরও বলেন যে, ‘দিদি আমার ওপর যে আস্থা রেখেছেন, এটাই সবচেয়ে বড় কথা। আমি দলের একনিষ্ট সৈনিক। মমতা বন্দোপাধ্যায় যা দায়িত্ব দেবে, মাথা পেতে নেব। পার্টি যা দায়িত্ব দিয়েছে, পালন করব।’ নিজের কামব্যাক প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘যে খায় চিনি, তাঁকে জোগায় চিন্তামণি। জিভ দিয়েছেন যিনি, আহার দেবেন তিনি। তিনি হচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’ বরাবরই স্পষ্ট বক্তা বলে পরিচিত মদনের সাফ কথা, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কারোও ওপর আস্থা রাখতে হয় না। সবাই তাঁর উপর আস্থা রাখে।’