গত বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে আচমকাই নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন নদিয়ার নোডাল অফিসার অর্ণব রায়। অবশেষে এক সপ্তাহ পর খোঁজ মিলল নদিয়ার অর্ণবের। তাঁকে হাওড়া স্টেশন থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে সিআইডি সূত্রে খবর।
তবে কি করে নদিয়া থেকে হাওড়া এলেন তিনি তা নিয়ে এখনও কাটেনি ধোঁয়াশা। সূত্রের খবর, মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করেই তাঁকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। পুলিশ সূত্রে বলা হচ্ছে, অর্ণবকে প্রাথমিক শুশ্রুষার পর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গোটা রহস্যের কিনারা করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
নিখোঁজ হওয়ার দিন স্ত্রীর সঙ্গে ছ’বার ফোনে কথা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর হাওড়ায় অর্ণবের শ্বশুর বাড়ি। আপাতত সেখানেই রাখা হয়েছে তাঁকে। অর্ণবের অন্তর্ধান নিয়ে অনেকেই আইন-শৃঙ্খলার ব্যপারে প্রশ্নই তুলেছিলেন। তাঁদের বক্তব্য ছিল এই যে, ডিসিআরসি কেন্দ্র থেকে কী করে একজন ডব্লিউবিসিএস অফিসার নিখোঁজ হয়ে গেলেন। পঞ্চায়েত ভোটের সময় রায়গঞ্জে প্রিসাইডিং অফিসার রাজকুমার দাস নিখোঁজ হয়েছিলেন। পরে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছিল রেল লাইনের ধার থেকে। যদিও অর্ণবকে অক্ষত অবস্থাতেই পাওয়া গিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে এতদিন তিনি কোথায় ছিলেন সেটাই এখন প্রশ্ন। নদিয়া থেকে অর্ণবের স্ত্রী-সহ গোটা পরিবার হাওড়ার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন বলে খবর।
তাঁর এই অন্তর্ধানের মধ্যেই বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়েছিল তাঁর মানসিক পরিস্থিতি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে সেই বিতর্কে জল ঢেলেছিলেন অর্ণবের স্ত্রী অনীশা যশ৷ সেখানে তিনি জানান যে তাঁর স্বামী মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন না৷ যদি নিজে ইচ্ছা করে কোথাও চলে যেতেন তিনি, তাহলে সঙ্গে করে ভোটার আইডেনটিটি কার্ড এবং প্যান কার্ড নিয়ে যেতেন অর্ণব৷
নোডাল অফিসারের পাশাপাশি, জেলার ১০০ দিনের কাজ দেখভালের দায়িত্বও ছিল অর্ণববাবুর কাঁধে, শুধু তাই নয়, নদিয়ার সব বুথের ইভিএম ও ভিভিপ্যাটের দায়িত্বে ছিলেন অর্ণব। আগামী ২৯ এপ্রিল সেখানে ভোট। অর্ণবের এই আচমকা নিখোঁজের পিছনে বিরোধীদের হাত রয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, নদিয়াতে সাধারণত শান্তিপূর্ণ ভাবেই ভোট হয় এবার সেই শান্তি নষ্ট করার চেষ্টায় আছে বিজেপি। তাই আচমকা অর্ণবের এই অন্তর্ধানে যে বিজেপিই যুক্ত এমনটাই জানাচ্ছেন তাঁর সহকর্মীরা।