ভারত উন্নয়নশীল অর্থনৈতিক দেশ। পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম জনবহুল দেশ। তাই এখানে পর্যাপ্ত পরিমাণ কর্মসংস্থানের অভাবে বেকার বহু মানুষ।সব নির্বাচনে এই বেকারত্ব একটা বড় ইস্যু। শুধুমাত্র এই একটি ইস্যুর উপর ভিত্তি করে পাল্টে গেছে সরকার। নতুন সরকার এসেছে। তাঁরাও এই ইস্যু পূরণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় নির্বাচনে আবার উঠে আসছে সেটাই।
প্রসঙ্গত, গত ২০১৪ এর লোকসভা নির্বাচনে এই বেকারত্ব ছিল বড় ইস্যু। যার জোরে গদিতে এসেছিল মোদী সরকার। প্রতিশ্রুতি ছিল বছরে ২ কোটি কর্মসংস্থানের। কিন্তু পাঁচ বছর পর সেই প্রতিশ্রুতি রাখতে না পারায় এই নির্বাচনেও বড় ইস্যু বেকারত্ব।
আর সেখানেই আরবিআই-এর প্রাক্তন গভর্নর রঘুনাথ রাজন ভবিষ্যতে এক ভয়ংকর আশঙ্কার কথা শোনালেন। তাঁর আশঙ্কা, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এ আইয়ের বহুল ব্যবহার, ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশে ডেকে আনতে পারে এক অভূতপূর্ব কর্মসংস্থানের সঙ্কট। এবছর নিউইয়র্কে রাষ্ট্রপুঞ্জের দফতরে আয়োজিত ইসিওএসওসি ফোরাম অন ফিনান্সিং ফর ডেভলপমেন্ট শীর্ষক আলোচনায় রঘুরাম রাজন, এ আই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে বলতে গিয়ে উদাহরণ হিসেবে নিয়ে আসেন ভারতের প্রসঙ্গ। ভারতের মতো উন্নয়নশীল অর্থনীতিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বহুল ব্যবহারে প্রশিক্ষিত কর্মীদের প্রয়োজন ফুরোবে, বলে আশঙ্কা তাঁর। ইতিমধ্যেই বেকারত্বের ভারে নুব্জ ভারতের পক্ষে যা এক ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি।
মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী ভূয়সী প্রশংসা করেছেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এ আইয়ের। কিন্তু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বহুল ব্যবহারে যে ব্যাপক হারে কর্মসংস্থান কমে যাবে, তা নিয়ে কোনও ইঙ্গিত তিনি দেননি। এতেই আরবিআইয়ের ২৩ তম গভর্নরের আশঙ্কা মোদী যদি এই এ আইয়ের ব্যবহারে এত জোর দেন তাহলে ভারতের মত দেশে বেকারের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়বে। এমনটিতেই এই ডিভাইসের ভারতের বাজারে ছেয়ে গেছে। আর তা যদি মোদীর ইচ্ছানুসারে আরও বাড়ে তাহলে বেকার হবে ভারতের যুব সম্প্রদায়।