এ যেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্দেশ্যে গোটা বাংলার জবাব! কিছুদিন আগেই যেমন আইপিএল ম্যাচ চলাকালীন, জয়পুরের স্টেডিয়ামের গ্যালারিতেও স্বতস্ফূর্ত ভাবে স্লোগান উঠেছিল, সেই ঢংয়েই এবার জনসভায় আগত শ্রোতারা স্বতস্ফূর্ত ভাবে স্লোগান তুললেন ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’! সম্প্রতি ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’ স্লোগান নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়ে ক্ষমা চেয়েছেন রাহুল গান্ধী। সেই দেখেই প্রকাশ্য জনসভায় আর মোদী বিরোধী নেতারা ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’ নিয়ে আর রব তুলছেন না। কিন্তু ‘সুপ্রিম’ রায় অন্যকথা বললেও, জনতা রায় দিয়ে দিল চৌকিদারই চোর। গতকাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রীরামপুরের জনসভায় দেখা গেল এই ছবি। মুখ্যমন্ত্রী সেখানে কিছু বলার আগেই জনসভা থেকেই উপস্থিত জনতা আওয়াজ তুলল, ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’।
প্রসঙ্গত, গতকাল শ্রীরামপুরে তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে হওয়া জনসভায় বরাবরের মতোই প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানান মমতা। মোদীকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘চাওয়ালা এখন চৌকিদার হয়েছেন।’ আর এরপরই ভরা জনসভায় ওই আওয়াজ ওঠে। জনতার এমন স্বতস্ফূর্ততা দেখেই আক্রমণের সুর চড়িয়ে মমতা বলেন, ‘চৌকিদার সবার পকেটের টাকা নিয়ে যাচ্ছে। কালো টাকা এসেছে নাকি? নোটবন্দী আর জনধন প্রকল্প বিরাট বড় দুর্নীতি।’ ঠিক তারপরই মোদী এবং বিজেপি সভাপতি অমিত শাহকে নিশানা করে তৃণমূল নেত্রী অভিযোগ করেন, ‘৫ বছর ধরে বাংলাকে বঞ্চিত করে ওঁরা এখন বসন্তের কোকিলের মতো উড়ে এসে ভোট চাইছেন।’
তাঁর দাবি, ‘পাঁচ বছর ধরে শুধুই বঞ্চনা করা হয়েছে বাংলাকে। বাংলা খেল কি না, পরল কি না, তার খোঁজ নেয়নি। বন্যায় আসেনি, খরাতেও আসেনি। এক পয়সা সাহায্যও দেয়নি। এখন ভোট এসেছে, তাই বসন্তের কোকিলের মতো এসে কুহু কুহু করছে। এরপরও কেন বাংলার মানুষ ওদের ভোট দেবে?’ এখানেই না থেমে এরপর রাজ্যে রাম-বাম সমঝোতা নিয়েও মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী। সিপিএম-বিজেপিকে একজোট করে তাঁর অভিযোগ, ‘এক সময়ের লালপার্টির হার্মাদরাই এখন বিজেপির ওস্তাদ হয়েছে। এই ওস্তাদদের ভরসাতেই বাংলায় এসে উঁকিঝুঁকি মারছে বিজেপি। এরা ধর্ম মানে না, শুধু সন্ত্রাস করে, বিভাজনের রাজনীতি করে।’