দেশে আচ্ছে দিন আনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন তিনি। কিন্তু বিগত ৫ বছর ধরে শুধু ‘বিকাশ’-এর স্বপ্ন ফেরি করা ছাড়া সাধারণ মানুষের জন্য কী করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, এবার তারই হিসাব চাইছে তৃণমূল। দলের সোশ্যাল মিডিয়া সেলের পক্ষ থেকে ‘প্রধানমন্ত্রী হিসাব দাও— এই শিরোনামে আবারও একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে। মোদীর আমলে যেভাবে দিনের পর দিন কৃষকদের অবস্থা খারাপ হয়েছে, চাষিদের যেভাবে মোদী বঞ্চিত করেছেন তাই নিয়েই এই ভিডিও। উল্লেখ্য যখন দেশে ১২,০০০ কৃষক আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন সেখানে সাড়ে সাত বছরে বাংলার কৃষকের আয় বেড়েছে তিনগুন
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে উত্তর প্রদেশের আটাওয়াতে দীননাথ বিন্দ বলে এক চাষি মোদীর বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলছেন, “আরে ভাই ২০১৯ সালে কি হবে? কোনও ভাঁওতা তো আর সত্যি হবে না। মোদী বলেছিলেন কৃষকদের আমদানি দ্বিগুণ করে দেবেন। কবে করবেন দাদা? ২০২২ সালে? আজ অব্ধি এমন কোনও সরকার দেখেছেন যারা পাঁচ বছরের জন্যে ক্ষমতায় এসে আট বছরের স্বপ্ন দেখায়? কিন্তু কিছুই পূরণ করে না?”।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, সেই কৃষকও মোদীর কাছে খতিয়ান চাইছেন তাঁর কাজের। তিনি বলছেন, “ ২০২২ সালের ভাষণ দেওয়া সরকার আগে ২০১৯ সালের হিসেব দাও”। এখানেই শেষ নয়, ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, এবার বাংলার এক চাষি মুখ খুলছেন মোদীর বিরুদ্ধে। মোদীকে ব্যঙ্গ করে তিনি বলছেন, “ হিসেব দিতে পারলে তো দিয়েই দিত এত ধানাই পানাই না করে। যাদের কাজ করার তাঁরা চুপচাপ কাজ করে”। এরপরে মমতার প্রসংশা করে তিনি বলেন, “ এই যে চাষিদের আমদানি তিনগুন হয়ে গেল তা বাইরের কেউ জানতে পারল? চাষের খরচ কমিয়ে দেওয়া, সঠিক দামে আমাদের থেকে কিনে নেওয়া, এই সব কিছুই আমাদের মুখ্যমন্ত্রীর খেয়াল থাকে”।
মোদীর আমলে চাষি মৃত্যুর হার নিয়েও সরব হয়েছে এই ভিডিও। ওই চাষি বলছেন, “ আমাদের এখানে রোজগার বাড়ল আর দেশে বাড়ল কৃষকভাইদের আত্মহত্যার হার”। এরপরেই আবারও মমতার প্রসংশা করেন তিনি। তাঁকে বলতে দেখা যাচ্ছে, “ তাই তো বলি দেশের প্রয়োজন, দিদির মত একজন”।
উল্লেখ্য, দেশে যখন বাড়ছে কৃষকদের আত্মহত্যার হার। তখন বাংলায় কৃষকদের গড় বার্ষিক আয় গত আট বছরে বেড়েছে তিনগুণ। এছাড়াও নানারকম প্রকল্প নেওয়া হয়েছে বাংলার কৃষকদের জন্যে যার মধ্যে আছে কৃষকবন্ধুর মত কৃষকদরদী প্রকল্প। এছাড়াও মকুব করা হয়েছে তাঁদের খাজনাও। এবার গোটা দেশের কাছেই বাংলার এই অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী মোদীর কাছে তৃণমূল জানতে চায় দেশের বিকাশের হিসেব। তারা বলছে, ‘প্রধানমন্ত্রী হিসাব দাও’। ভিডিওর শেষে বাংলার উন্নয়ন এবং অধিকারের স্বার্থে, ধর্মনিরপেক্ষ-প্রগতিশীল সরকার গড়ার লক্ষ্যে তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।