মোদী ‘লহর’ নেই। দেশের প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে নরেন্দ্র মোদীর বদলে উঠে আসছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। এহেন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তরফে সাফ জানানো হল, দিল্লীতে ক্ষমতা বদল হলেও অটুট থাকবে দু’দেশের বন্ধুত্ব। এই মন্তব্যের পরেই প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি মোদী বিদায়ের ইঙ্গিত পাচ্ছেন ঢাকার নেতৃত্ব।
ভৌগলিক কারণে ভারত ও বাংলাদেশ একে ওপরের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে তৎপর। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা পাকপন্থী খালেদা জিয়ার আমল বাদ দিলে, ঢাকা-দিল্লি বরাবরই সুসম্পর্ক বজায় রেখে এসেছে| এবং এর ফলও পেয়েছে দু’দেশ। সেই কথা মাথায় রেখে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভি বলেন, ‘ভারতে যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক না কেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক সবসময় ভাল থাকবে। ভবিষ্যতে আরও মজবুত হবে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক। নির্বাচনের ফলাফলে আমাদের মতের কোনও পরিবর্তন হবে না।” ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে আশুতোষ চক্রবর্তী স্মারক শিক্ষা বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে এসে রিজভি তাৎপর্যপূর্ণভাবে বলেন, “নতুন সরকার নতুন জনমত নিয়ে আসবে। মোদীজি আসুক বা অন্য কেউ, আমাদের সম্পর্ক সবসময় ভাল থাকবে।‘
আপাতদৃষ্টিতে রিজভির মন্তব্য অকপট মনে হলেও এর নিহিত অর্থ নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে শেখ হাসিনার সম্পর্ক অত্যন্ত ভাল। গত বছর বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামি লিগকেই মদত জুগিয়েছিল দিল্লী। পালটা মোদীকে পরোক্ষে সমর্থন জানিয়েছেন হাসিনা। তবে মোদী জাদু ফিকে হওয়ায় চলতি বছর হাওয়া লেগেছে বিরোধী পালেও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে শক্তিশালী হচ্ছে মহাজোট। ফলে দিল্লীর মসনদে অন্য মুখ বসলে আশ্চর্য হওয়ার কিছু থাকবে না। তাই যে কোনও পরিস্থিতিতে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতেই এহেন মন্তব্য করেছেন হাসিনার উপদেষ্টা।