কিছুদিন আগেই মালগাঁও বিস্ফোরণে অভিযুক্ত সদ্য বিজেপি প্রার্থী সাধ্বী প্রজ্ঞা ঠাকুরের গোমূত্র নিয়ে করা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিভ্রান্ত। এমনটাই জানিয়েছেন টাটা ক্যান্সার হাসপাতালের ডিরেক্টর রাজেন্দ্র বরডে এবং তাঁর বিশেষজ্ঞদের দল৷ গো-মূত্র থেকে ক্যান্সার নিরাময় হয়েছে বলে দাবি করেছেন ভারতের ভোপাল কেন্দ্রের বিজেপির নারীপ্রার্থী সাধ্বী প্রজ্ঞা ঠাকুর।
প্রসঙ্গত, সাধ্বী প্রজ্ঞা ঠাকুর এক সাক্ষাৎকারে দাবি করেন যে তিনি ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং তা নিরাময় করতে সক্ষম হয়েছেন৷ কারণ হিসাবে তিনি জানান, গো-মূত্র এবং পঞ্চগভ্য মিশ্রণে তৈরি আয়ুর্বেদিক ওষুধে আমার ক্যান্সার সেরে গেছে। আর তাতেই তৈরি হয়েছে নতুন করে বিতর্ক।
টাটা মেমোরিয়াল সেন্ট্রারের ডিরেক্টর ডাঃ রাজেন্দ্র বরডে যিনি একজন ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ এরই প্রেক্ষিতে জানিয়েছেন, গো-মূত্র থেকে ক্যান্সার নিরাময় হয়েছে এর কোনও প্রমাণ নেই৷ তাঁর বক্তব্য, ব্রেস্ট ক্যান্সার নিরাময়ে গোমূত্রে বিষয়ে আদৌ কোনও সমীক্ষাই নেই৷ বরং বিশ্বজুড়ে রেডিওথেরাপি, কেমোথেরাপি এবং ইমিউনোথেরাপির মাধ্যমে এই ক্যান্সার নিরাময়ের চিকিৎসা গ্রহণ করা হয়েছে।
শুধু তিনি নন। টাটা মেমোরিয়াল সেন্ট্রারের ডেপুটি ডিরেক্টর পঙ্কজ চতুর্বেদির জানান, ‘এই ভাবে বিজেপি নেত্রী ক্যান্সার রোগীদের বিভ্রান্ত করছেন এবং ভুল পথে চালিত করতে চাইছেন৷’ ওই কেন্দ্রের অ্যাকাডেমিক ডিরেক্টর ডা: শ্রীপদ বানাভলি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে প্রশ্ন তুলেছেন, কেউ যদি গো মূত্র থেকে ক্যান্সার নিরাময় হয় বলে দাবি করেন তাহলে তিনি দেখান কোথায় এই নিয়ে সমীক্ষা বা গবেষণা করা হয়েছে এবং তার ফল কী?
এইভাবে মানুষের মধ্যে ক্যান্সারের মত রোগ নিয়ে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করায় রীতিমতো ক্ষুদ্ধ দেশের বিশেষজ্ঞরা। আর এতে বিজেপি নেত্রীকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছেন তাঁরা।