পক্ষপাতীত্বের অভিযোগে বাংলার বিশেষ পর্যবেক্ষক অজয় নায়েকের অবিলম্বে অপসারণের দাবি তুলে কমিশনে চিঠি দিল তৃণমূল। বৃহস্পতিবার তৃণমূলের সোশ্যাল মিডিয়া পেজ থেকে এক ভিডিও বার্তায় অজয় নায়েকের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ও প্রধান জাতীয় মুখপাত্র। প্রথমত, কীভাবে অজয় নায়েকের মতো একজন অবসরপ্রাপ্ত অফিসারকে ভোটের বিশেষ পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, কমিশনকে পাঠানো চিঠিতে সেই প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।
তৃণমূলের দাবি, রিপ্রেজেন্টশন অব পিপলস অ্যাক্ট অনুযায়ী, কোনও অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মীকে নির্বাচনের বিশেষ পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে রাখা যায় না। তাই অজয় নায়েককে বিশেষ পর্যবেক্ষকের পদ থেকে অপসারণের জন্য কমিশনকে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে তারা। এছাড়াও, অজয় নায়েক পক্ষপাতদুষ্ট ও বিজেপিকে ভোটে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ারও চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করেছে তৃণমূল। বিশেষত সীমান্ত এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কাজে লাগিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করা হচ্ছে বলে চাঞ্চল্যকর দাবি করেন ডেরেক ও’ ব্রায়েন। তাঁর কথায়, ‘অজয় নায়েকের কর্মকাণ্ড ও বিবৃতি স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু ভোট প্রক্রিয়ার পরিপন্থী। তাই অবিলম্বে অজয় নায়েককে বিশেষ পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব থেকে সরানো হোক’।
দ্বিতীয় দফা ভোটের শেষে অজয় নায়েকের একটি মন্তব্য ঘিরে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়। অজয় নায়েক মন্তব্য করেছিলেন, বাংলার বর্তমান অবস্থা ১০ বছর আগের বিহারের মতো। সে সময় বিহারের নির্বাচনের সময় এত সংখ্যক বাহিনী মোতায়েন করতে হত, এখন যা এ রাজ্যে করতে হচ্ছে। শুধু তাই নয়, এই মন্তব্যের দিন দুয়েক পরে রাজ্যের ৭ পুলিশ অফিসারকে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। অজয় নায়েকের মন্তব্য ও কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ তৃণমূল অভিযোগ করে, বাংলাকে অপমান করছেন নির্বাচনী বিশেষ পর্যবেক্ষক। তাছাড়া একটি নির্দিষ্ট দলের নির্দেশ মাফিক কাজ করছেন বলেও অভিযোগ করা হয়। চিঠিতে এই সব কারণ দর্শিয়েই বাংলার বিশেষ পর্যবেক্ষককে অবিলম্বে সরানোর দাবি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিল তৃণমূল।
