ভোটের বাকি আর হাতে গোনা কয়েকটা দিন। তার আগেই লোকসভা নির্বাচনে চুঁচুড়ায় প্রচারে নেমেছে তৃণমূল। রাস্তাঘাট সংস্কার, পর্যাপ্ত পানীয় জল, জেলা হাসপাতালের উন্নয়ন, রবীন্দ্রভবনের সংস্কার, খেলাধুলোর পরিকাঠামো উন্নয়ন, সরস্বতী নদী সংস্কার সহ রাজ্যের সামগ্রিক উন্নয়নকে সামনে রেখেই প্রচার চালাচ্ছে তৃণমূল।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে চুঁচুড়া বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী অসিত মজুমদার ১ লক্ষ ২৭ হাজার ২০৬টি ভোট পান। ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রার্থী নরেন দে’কে তিনি ৩৯ হাজার ৯৩১ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেছিলেন। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী রত্না দে নাগ ২৫ হাজার ১৬৩ ভোটে এগিয়ে ছিলেন চুঁচুড়ায়। শুধু তাই নয়, চুঁচুড়া পুরসভা ও বিধানসভা কেন্দ্রের আওতায় থাকা গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিও তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে রয়েছে।
এবারও চুঁচুড়া বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ভালো লিডের আশা করছেন তৃণমূল প্রার্থী রত্না দে নাগ। এবিষয়ে অসিত মজুমদার বলেন, “বিরোধীরা যাই বলুক না কেন, এলাকার মানুষ জানেন, তাঁদের জন্য গত কয়েক বছরে আমি বা আমাদের সরকার কী কাজ করেছে। জেলা হাসপাতালে আইসিসিইউ, ডায়ালিসিস, ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট, এসএনসিইউ সহ একাধিক নতুন বিভাগ চালু হয়েছে। আমাদের সরকারের উদ্যোগে চুঁচুড়া পুরসভার প্রতিটি রাস্তা পাকা হয়েছে, প্রায় দেড়শো কোটি টাকা খরচ করে পানীয় জলের যে প্রকল্প তৈরি হয়েছে, তাতে শহরের জল-সমস্যা মিটেছে। নিকাশি ব্যবস্থার জন্য মাস্টার প্ল্যান চূড়ান্ত করে টাকা বরাদ্দ হয়েছে। শীঘ্রই কেএমডিএ কাজ শুরু করবে”।