মঙ্গলবার বোলপুরের গীতাঞ্জলি প্রেক্ষাগৃহে শান্তিনিকেতন নাগরিক মঞ্চের ডাকে ‘সাম্প্রদায়িকতা ও অসহিষ্ণুতায় ভারতের গণতন্ত্র আজ বিপন্ন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় অংশ নেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা বিশিষ্ট পরিচালক, নাট্যকার ব্রাত্য বসু। সেখানেই তিনি বলেন, “ভারতীয় রাজনীতিতে ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক সাম্প্রদায়িকতাও মাথাচাড়া দিচ্ছে। গণতন্ত্রের পক্ষে দুটোই ক্ষতিকারক”। বিশ্বভারতীর অধ্যাপক, লেখক, বুদ্ধিজীবী, একাধিক প্রশ্ন করলে তার উত্তর দেন ব্রাত্য বসু, অরিন্দম শীল। আলোচনা সভার আহ্বায়ক সুপ্রিয় সাধু জানান, বোলপুর শান্তিনিকেতনের বিভিন্ন অংশের মানুষ এই আলোচনা সভায় যোগ দিয়েছেন।
এই অনুষ্ঠানের আলোচনায় যোগ দেন পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, অরিন্দম শীল, সুবোধ সরকার, শ্রীজাত, যোগেন চৌধুরী প্রমুখেরা। এখানেই ব্রাত্য বসু বলেন, “শিল্পী, লেখক, বুদ্ধিজীবীরা রাজনীতির আঙিনায় এলেই তাঁদের ধান্দাবাজ আখ্যা দেওয়া, অথচ গুন্ডা বদমাশরা রাজনীতিতে এলে তর স্বাগত জানানোটা আজ রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই একমাত্র নেত্রী, যিনি শিল্পী, লেখক, কবিদের রাজনৈতিক সম্মান দিয়েছেন। মর্যাদা দিয়েছেন। যা কেউ ভাবতে পারেন না। নিজের নিজের সম্প্রদায়ের সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে চর্চা না করে হিন্দুরা মুসলিম–সাম্প্রদায়িকতা এবং মুসলিমরা হিন্দু–সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে কথা বলছেন। গন্ডগোলটা এখানেই শুরু। এটা হওয়া উচিত নয়”।
চলচিত্র পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, অরিন্দম শীলরাও তাঁদের বক্তব্যে নরেন্দ্র মোদীর এবং বিজেপি–র সামালোচনা করে আগামী নির্বাচনে নিজস্ব মতামত প্রকাশ করার আবেদন জানান। কবি সুবোধ সরকার, শ্রীজাত ও বিশিষ্ট শিল্পী যোগেন চৌধুরীরও একই বক্তব্য। তাঁরা বলেন, “ভারতবর্ষে রক্তের বদলে রক্ত বিজেপি ছাড়া আর কোনও দল চায় না। ধর্মের নামে বিভাজন রুখতে না পারলে দেশের বড় ক্ষতি হবে”।