এ যেন কার্যত মৃত্যুমুখ থেকে ফিরে আসা৷ প্রথম থেকে পরপর ম্যাচ হারতে হারতে আরসিবির বিদায় ছিল সময়ের অপেক্ষা৷ সেখান থেকে দলকে নিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন কোহলি৷ আজ বুধবার চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবকে হারিয়ে আপাতত জয়ের হ্যাটট্রিক করাই লক্ষ্য ব্যাঙ্গালোরের৷
আরসিবি অধিনায়ক বিরাট কোহালির কথায়, ‘‘সকলকে বলে দিয়েছি, ম্যাচ উপভোগ করার মানসিকতা নিয়ে খেলতে হবে।’’ কোহালিদের কোচ গ্যারি কার্স্টেন যা ইঙ্গিত দিয়েছেন, তাতে ডেল স্টেন-অস্ত্রেই পঞ্জাবকে হারাতে চান। বলেছেন, ‘‘স্টেন শেষ দুই ম্যাচে যে বোলিং করেছে, তা অসাধারণ। নতুন বলে ও প্রথম দুই ওভারে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠলেই কাজ সহজ হয়ে যাবে।’’
বিরাট কোহলি ফর্মে আছেন। কেকেআরের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি করেছিলেন। ওপেনার পার্থিব প্যাটেলও প্রত্যাশা পূরণে সফল। আর এবি ডি’ভিলিয়ার্স ছন্দে ফেরায় আরসিবি’র ব্যাটিং আরও শক্তিশালী হয়েছে। মূলত এই তিন ব্যাটসম্যানের উপর বেঙ্গালুরুর ভাগ্য নির্ভর করছে। আকাশদীপ নাথ, মার্কাস স্টোইনিস, মিডল অর্ডারে খেলছেন। তবে মঈন আলির অলরাউন্ড পারফরম্যান্স দুই দলের মধ্যে ফারাক গড়ে দিতে পারে। গত ম্যাচে চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে মাত্র ১ রানে জিতেছিল আরসিবি। মহেন্দ্র সিং ধোনির ব্যাটিং তাণ্ডবে ছারখার হয়ে গিয়েছিল বিরাটের যাবতীয় কৌশল। দায়িত্ব নিয়ে ম্যাচটা হারাচ্ছিলেন পেসার উমেশ যাদব। সেই ভুল থেকে শিক্ষা নিতে পারেন বিরাট। বোলিংয়ে কিছু পরিবর্তন করতে পারেন তিনি। তবে এটা ঠিক, ডেল স্টেইন দলে ঢোকার পর বেঙ্গালুরুর বোলিং অনেক শক্তিশালী হয়েছে। স্পিনার যুজবেন্দ্র চাহাল যদি নিজের সেরাটা মেলে ধরতে পারেন, তাহলে আরসিবি’র জয়ের পথ সহজেই খুলে যেতে পারে।
অন্যদিকে শেষ ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালসের কাছে হারের পর দলের মানসিকতা নিয়ে ধন্দে পড়ে গিয়েছেন কোচ মাইক হেসন। তাঁর বক্তব্য খুব স্পষ্ট। হেসনের মন্তব্য, ‘‘ক্রিকেটারেরা কেমন ভাবে ঘুরে দাঁড়াবে, তার উপর নির্ভর করছে কিংস ইলেভেন পঞ্জাব দলের আইপিএল-ভাগ্য। সকলকে এটা মনে রাখতে হবে যে, মাঠে একশো শতাংশ নিখুঁত ক্রিকেট খেলার সময় চলে এসেছে।’’
কোচের বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়ে অধিনায়ক আর অশ্বিনও মেনে নিয়েছেন, ‘ডেথ ওভারে’ তাঁদের অনেক বেশি সতর্ক থাকতে হবে। তিনি বলেছেন, ‘‘আগে বল করি অথবা পরে, টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ১৬ থেকে ২০ ওভারটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেই সময়ে কোনও রকম ভুল করা যাবে না। বোলিংয়ের সঙ্গে ফিল্ডিংকেও তৎপর থাকতে হবে।’’