হাতে বাকি মোটে আর চার দিন। আগামী সোমবার বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ। আর তাই শেষবেলার প্রচারে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছেন প্রার্থীরা। এই গরমে সকাল ১০টা থেকেই রাস্তাঘাট প্রায় ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে গরমে তেতে পুড়ে বিভিন্ন এলাকায় ভোটারদের বাড়ির দোরগোড়ায় হাজির হয়ে যাচ্ছেন প্রার্থীরা। বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায় পুরদস্তুর রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠেছেন। দু’বারের এমপি এই প্রার্থী অভিজ্ঞ নেত্রীর মতোই গ্রামে গ্রামে ঘুরে প্রচার করছেন। এদিন তিনি মুরারই-২ ব্লকের হিয়াতনগর, বর্ধনপাড়া, ভীমপুর, আমডোল, নন্দীগ্রাম, এদরাকপুর সহ দিনভর পঞ্চাশেরও বেশি গ্রামে পথসভা ও রোড শোর মাধ্যমে প্রচার সারেন। প্রতিটি সভায় ভিড় উপচে পড়েছিল। তৃণমূলের উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরে শতাব্দী রায় তৃতীয়বার সাধারণ মানুষের সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করছেন। তিনি বলেন, “আপনারা ভোট দিয়েছেন বলেই কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। আরও উন্নয়নের জন্য এবারও আমাকে ৫ নম্বর বোতাম টিপে ভোট দিন”।
বীরভূম কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দুধকুমার মণ্ডল সকাল থেকে নলহাটি-২ ব্লকের তৈহার, জেষ্ঠ্যা, নাকপুর, তিলোরা, কল্যাণপুর, রায়পুর, ভদ্রপুর সহ একাধিক গ্রামে প্রচার সারেন। অন্যদিকে, মুরারই-১ ব্লকের গোপালপুর, বনরামপুর, সন্তোষপুর, কানাইপুর সহ একাধিক গ্রাম ঘুরে ঘুরে প্রচার করেন বীরভূম কেন্দ্রেরই সিপিএম প্রার্থী রেজাউল করিমও। কিন্তু শেষবেলার ভোটপ্রচারের নিরিখে বিরোধী দলগুলোকে কয়েক কদম পিছনে ফেলে দিয়েছে তৃণমূল। কারণ বিরোধী দলের প্রচারে মানুষের ভিড় তৃণমূলের প্রচার মিছিলের তুলনায় অনেক কম। সুতরাং মানুষ বুঝতে পারছেন আদতে উন্নয়ন কারা করছে আর কারা প্রতিশ্রুতির নামে ভাঁওতা দিচ্ছে।
আগামী সোমবার বীরভূম জেলার দু’টি আসনে হবে ভোটগ্রহণ। শনিবার প্রচারের শেষ দিন। রোদ মাথায় করেই বেরিয়ে পড়ছেন তাঁরা। বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী অসিত মালও এদিন ময়ূরেশ্বর-১ ব্লকের মহুলা, বুড়চন্দ্রপুর, ভেলিয়ান, কুমাড্ডা ও মল্লারপুরে পায়ে হেঁটে প্রচার সারেন। তিনি বলেন, “এই গরমে বিস্তর ঘোরাঘুরি করতে হচ্ছে। বদহজম যাতে না হয়, সেজন্য ভারী খাবার কম খাচ্ছি”। সকালে তিনি মুড়ি ও কলাইসিদ্ধ খেয়েছেন। এরপর প্রচারের ফাঁকে কখনও কর্মীদের দেওয়া ডাব খান। কখনও আবার ভোটাররাই তাঁকে সরবত করে খাওয়ায়। দুপুরে ভাত, সব্জি আর মাছ। রাতেও হাল্কা খাবার হিসেবে মুড়ি ও একটি সব্জি খান তিনি। অসিতবাবু বলেন, “মানুষের উৎসাহ উদ্দিপনাই আমাকে এনার্জি জোগাচ্ছে। জয়ের ব্যাপারে ১০০ শতাংশের উপরে আশাবাদী”।