গ্রীষ্মের তীব্র দাবদাহকে উপেক্ষা করে জোরকদমে প্রচার চালাচ্ছেন বাঁকুড়ার তৃণমূল প্রার্থী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। অন্যদিনের মতো হুডখোলা গাড়িতেই এ দিন হিড়বাঁধে প্রচারে গিয়েছিলেন বাঁকুড়ার তৃণমূল প্রার্থী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তিনি নন্দা গ্রামে পৌঁছতেই কর্মী-সমর্থকেরা ঘিরে ধরে আবদার করেন, ‘‘দাদা সামনেই ওই এক্কাগাড়ি। গাড়ি থেকে নেমে ওই এক্কাগাড়িতে চড়ুন। তা হলে প্রচার জমে যাবে।’’
ভোটের প্রচারে বেরিয়ে কত আবদারই রাখতে হচ্ছে। অগত্যা সুব্রতবাবুও রাজি হয়ে যান। অন্যের ভাগ্য ফেরাতে আদরের ঘোড়া সুলতানকে নিয়ে নাল ও আংটি বিক্রি করতে বেরিয়েছিলেন কালু শেখ। বিক্রিবাটা তেমন হচ্ছিল না বলে মনটা তাঁর ভার। জানতেন না হিড়বাঁধের নন্দা গ্রামে তাঁরই ভাগ্য ফিরতে চলেছে। তৃণমূলের প্রার্থী তাঁর এক্কাগাড়িতে চড়বেন শুনে কালুর তো হাতে চাঁদ পাওয়ার অবস্থা!
মুর্শিদাবাদের লালগোলার বাসিন্দা ঘোড়ার মালিক কালু বলেন, ‘‘গ্রামে গ্রামে ঘুরে ঘোড়ার নাল ও আংটি বিক্রি করে দিনে বড়জোর দুশো টাকার নাল ও আংটি বিক্রি হয়। এ দিন সুব্রতবাবুকে চাপিয়ে ১০০০ টাকা পেয়েছি। দিনের শুরুতেই খুব ভালো ব্যবসা হয়েছে।’’
সুলতানের এক্কাগাড়িতে চড়ে সুব্রতবাবু কিছুক্ষণ নন্দা গ্রামে প্রচার চালালেন। সঙ্গে ছিলেন বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি মৃত্যুঞ্জয় মুর্মু, রানিবাঁধের বিধায়ক জ্যোৎস্না মান্ডি, হিড়বাঁধ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি ধীরেন্দ্রনাথ মাজি প্রমুখ। ধীরেনবাবু বলেন, ‘‘এতদিন সুব্রতদা হুডখোলা গাড়িতে চড়েই প্রচার করেছেন। এ দিন কর্মীদের আবদারে তিনি এক্কাগাড়িতে চড়েন। তাতে প্রচারে ভালই সাড়া পাওয়া গিয়েছে।’’
নন্দা গ্রাম থেকে বেরিয়ে ফের হুডখোলা গাড়িতে চড়ে সুব্রতবাবু ঝরিকচিয়া, গোপালপুর-সহ একাধিক গ্রামে রোড শো করেন। বিকেলে হিড়বাঁধে জনসভা ও সান্ডি, ভোজদা, জামডহরা-সহ একাধিক গ্রামে রোড শো করেন।