মঙ্গলবার চিপকে লেখা হল হেরে গিয়েও ফের ঘুরে দাঁড়ানোর রুপকথা। টানা দুই ম্যাচ হারের জের কাটিয়ে জয়ে ফিরল চেন্নাই। শুধু তাই নয়, ১১ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে আবার লিগ টেবিলের শীর্ষে উঠে পড়ল চেন্নাই। প্রথমে ব্যাট করে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ তোলে ১৭৫-৩। এক বল বাকি থাকতে চার উইকেট হারিয়ে ম্যাচ জিতে নেয় সিএসকে। ৫৩ বলে ৯৬ করে যান ওয়াটসন।
ওপেন করতে নেমে ৫৩ বলে ওয়াটসন খেললেন ৯৬ রানের ইনিংস। হায়দ্রাবাদের উইকেটকিপার জনি বেয়ারস্টো দুরন্ত ক্যাচ না ধরলে সেঞ্চুরি বাঁধা ছিল। তবে শেষ ওভারের রাজা কেদার যাদব। জেতার জন্য শেষ ওভারে বাকি ছিল ৯ রান। সন্দীপ শর্মার দ্বিতীয় বলে ছক্কা মেরে মোটামুটি চিত্রনাট্য পরিষ্কার করে দেন কেদার (১০ বলে ১১)। চতুর্থ বলে অম্বাতি রায়াডু (২১) আউট হলেও ম্যাচ জেতাতে ভুল করেননি কেদার। হায়দরাবাদের ১৭৫-৩ তাড়া করতে নেমে ১৯.৫ ওভারে চেন্নাইয়ের স্কোর ১৭৬-৪। ভুবনেশ্বর কুমার (১-১৮) আঁটোসাটো বোলিং করলেও মঙ্গলবার চিপকে ওয়াটসনকে বাগে আনতে পারেননি রশিদ খান (১-৪৪)।
চূড়ান্ত ধারাবাহিকতা দেখাচ্ছেন অজি ব্যাটসম্যান। ব্যাট ধরলে হাফ সেঞ্চুরির নীচে করছেনই না। এ দিন ওপেনার ওয়ার্নারের ব্যাট থেকে এল ৫৭ রানের ইনিংস। ৪৫ বলে এই ইনিংস খেলতে মেরেছেন ৩টি বাউন্ডারি ও দুটি ওভার বাউন্ডারি। ১১ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট পেয়ে সিএসকে প্রায় প্লে-অফে উঠেই গেল। এ বার দেখার, প্রথম দুই দলের মধ্যে থাকতে পারে কি না তারা।
চেন্নাই সুপার কিংসের ম্যাচ থাকলেই একটা চেনা ছক প্রয়োগ করছেন ধোনি। টস জিতে ফিল্ডিং নাও আর হরভজনকে খেলিয়ে দাও। মঙ্গলবারে হায়দরাবাদ ম্যাচেও সেই ছকের কোনও বদল হল না। এবং চিত্রনাট্য মেনে হায়দরাবাদের প্রথম উইকেটটাও তুলে নিলেন হরভজন। ম্যাচের শেষে হরভজন বলেন, ‘‘অসুস্থতার জন্য আমি কয়েকটা ম্যাচ খেলতে পারিনি। আমার পুরো পরিবারই অসুস্থ ছিল। আবার মাঠে ফিরতে পেরে খুব ভাল লাগছে। ম্যাচটা ১৯ ওভারেই শেষ হয়ে গেলে ভাল ছিল। কিন্তু ওরা আমাদের স্নায়ুর পরীক্ষা নিচ্ছিল।’’
বেয়ারস্টো তাড়াতাড়ি আউট হয়ে যাওয়ার পরে মণীশ এবং ওয়ার্নার মিলে খেলাটাকে ধরেন। ওয়ার্নার ৪৫ বলে ৫৭ করে ধোনির দুর্দান্ত স্টাম্পিংয়ের শিকার হন। তবে হায়দ্রাবাদকে ভুগিয়েছে শেষ দিকে দ্রুত রান তুলতে না পারা। একটা সময় মোটামুট ১০ রান রেট ছিল ওয়ার্নারদের। কিন্তু শেষ দিকে প্রত্যাশিত ভাবে রান ওঠেনি। শেষ তিন ওভারে ওঠে মাত্র ২৪ রান। যার জেরে হায়দ্রাবাদ থেমে যায় তিন উইকেটে ১৭৫ রানে। চেন্নাইয়ের সেরা বোলার সেই হরভজন সিংহ। যিনি চার ওভারে ৩৯ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন।
তবে ম্যাচ হারলেও হায়দরাবাদকে স্বস্তি দেবে ঠিক মণীশ পাণ্ডের ফর্ম। এই ম্যাচের পরে আর জনি বেয়ারস্টোকে পাচ্ছে না সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। ডেভিড ওয়ার্নারও ফিরে যাবেন আর কয়েকটা ম্যাচের পরে। সেই অবস্থায় মঙ্গলবার চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে খেলতে নেমে ৪৯ বলে ৮৩ রানে অপরাজিত থাকলেন মণীশ। তাঁর ইনিংসে রয়েছে সাতটি চার, তিনটি ছয়।