চলতি মরশুমের আইপিএলে টানা পাঁচ ম্যাচ হারের পরে বিধ্বস্ত নাইট রাইডার্স শিবির। যার প্রভাব দেখা গেল সোমবার কলকাতা বিমানবন্দরেও। পীযূষ চাওলা, আন্দ্রে রাসেল, সুনীল নারাইনরা যেন প্রত্যেকেই চুপিসারে বাসে উঠে গেলেন। কলকাতা বিমান বন্দরে চলল একটা নাটক। দেখা পাওয়া গেল না নাইট শিবিরের বেশির ভাগ ভারতীয় ক্রিকেটারদের। অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক, রবিন উথাপ্পা, শুভমন গিল, রিঙ্কু সিংহ, নীতীশ রানা, কুলদীপ যাদব, পৃথ্বীরাজ ইয়ারা, শ্রীকান্ত মুন্ধে কাউকেই তেমন দেখা গেল না।
দিনভর এ নিয়ে নাটকের পরে রাতে নাইট শিবির থেকে জানানো হয় যে, বেশ কয়েকজনকে ছুটি দেওয়া হয়েছে। বাকিরা মুম্বইয়ে নাইটদের নিজস্ব অ্যাকাডেমিতে প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য গিয়েছেন। বলা হচ্ছে, ইডেনের চেয়ে এখানের পরিকাঠামো নাকি উন্নত। দলের সঙ্গে তাঁরা যোগ দেবেন বুধবার ম্যাচের আগের দিন। ইডেনে আরসিবি-র কাছে হারের পরে নাইট কর্ণধার শাহরুখ খান টুইট করে বলেছিলেন, “অন্তত রাসেলের জন্য জেতো”। হায়দরাবাদের কাছে হারের পরে সোমবার রাত পর্যন্ত শাহরুখ সোশ্যাল মিডিয়ায় নিশ্চুপই রয়েছেন।
কেকেআরের হাতে এখন মাত্র চারটে ম্যাচ। তার আগে নাইট কর্তৃপক্ষ কোনও কড়া সিদ্ধান্ত নেয় কি না, তাও দেখার। এই আইপিএলে অবশ্য সে রকম নজির আছে। কার্তিকের ছন্দ ফেরানোর জন্য নাইট শিবিরও কি সে ক্ষেত্রে কোনও বিকল্প খুঁজতে পারে কি না সেটাই দেখার। কার্লোস ব্রাথওয়েট বা রাসেলকে নেতৃত্ব দেওয়ার পক্ষপাতী কেউ কেউ। ব্রাথওয়েটকে বাছা হলে তিনি খেলতে পারেন ইংল্যান্ডের পেসার হ্যারি গার্নির জায়গায়। কারণ ওয়েস্ট ইন্ডিজ টি-টোয়েন্টি দলের তিনিই অধিনায়ক। সরকারি বিবৃতি ছাড়া নাইটদের তরফে আর কিছু জানানো হয়নি। কোনও ক্রিকেটারও ফোন ধরেননি। শুধু টানা পাঁচ হারই নয়, প্রশ্ন উঠে গিয়েছে কার্তিকের অধিনায়কত্ব নিয়েও।
রাসেলও নাকি ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে খুশি নন। গত শুক্রবার ইডেনে আরসিবি-র বিরুদ্ধে হারের পরে সাংবাদিক বৈঠকে এসে রাসেল জানিয়ে গিয়েছিলেন যে, তিনি চার নম্বরে ব্যাট করতে ইচ্ছুক। অথচ রবিবার হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ম্যাচেও সাত নম্বরে নামানো হয় নাইটদের মূল অস্ত্রকে। এবার দেখার পালা বাকি চার ম্যাচে নাইটবাহিনী কেমন খেলে!