তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায়কে কাছে পেয়ে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন নলহাটি-২ ব্লকের কুমারসাণ্ডা গ্রামের বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, কুমারসাণ্ডা, শালসাণ্ডা সহ আশেপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষের লোহাপুর যাওয়ার প্রধান রাস্তা এই রেললাইনের পাশ দিয়ে যাওয়া এই রাস্তা। চার কিমি এই রাস্তার বেহাল দশার কথা বারবার রেলকে জানিয়েও সুরাহা হয়নি। তাই এদিন তৃণমূল প্রার্থীকে কাছে পেয়ে ক্ষোভ উগরে দেন সাধারণ মানুষ। তৃণমূল প্রার্থী অবশ্য তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন।
শতাব্দী বলেন, “তৃণমূল সরকার যা উন্নয়ন করেছে, তা কোনও সরকার করেনি। সুতরাং আমরা মানুষের পাশে থেকে কাজ করে ভোট চাইছি। যে সরকারি সুযোগ সুবিধা আপনারা পাচ্ছেন, সেগুলি আরও বেশি করে পাওয়ার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত করুন”। বিজেপিকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, “আমরা যখন সলমন, শাহরুখ খানের ছবি দেখি, তখন তো ভাবি না ওরা কোন ধর্মের। ভালো কাজ, ভালো অভিনয় দেখি। তাই ধর্ম নয়, কর্ম দেখে ভোট দেবেন”।
শতাব্দী রায় প্রচারে আসার খবর পেয়েই গ্রামবাসীরা তৃণমূল প্রার্থীকে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ জানান। এব্যাপারে শতাব্দীদেবী বলেন, “ওই রাস্তাটি সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু রাস্তাটি রেলের অধীনে। তাই রেলের অনুমতি নিয়ে রাস্তাটি সংস্কার করা যায় কিনা তা দেখব”। এদিন এই ব্লকের নবগ্রাম, টিঠিডাঙা, শালসাণ্ডা, বিরলচৌকি, নিধিয়া সহ একাধিক গ্রামে ছোট ছোট পথসভার মাধ্যমে প্রচার সারেন এই তারকা প্রার্থী। এদিন তাঁর সঙ্গে ছিলেন নলহাটি-২ ব্লক সভাপতি বিভাস অধিকারী, জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ আবু জাহের রানা প্রমুখ।
এই ব্লকের বাজার হাট, স্কুল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, সরকারি কার্যালয় সবই লোহাপুরে হওয়ায় নিত্যদিন তাঁদের ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। চার কিমি রাস্তার দু’কিমি পাকা হলেও বাকি রাস্তা এখনও মোরামের। মেরামতির অভাবে মোরামের রাস্তাটি বড় বড় গর্তে ভরে গিয়েছে। বেহাল রাস্তার জেরে গ্রামে অ্যাম্বুলেন্স পর্যন্ত ঢোকে না। গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর গ্রামের বাসিন্দারা রাস্তা সংস্কারের দাবিতে পোলিও বয়কটও করেন। কিন্তু তাতেও রেল রাস্তা সংস্কারে উদ্যোগী হয়নি বলে অভিযোগ।