বামেদের মাজা ভেঙে গিয়েছে, জানাই ছিল। কিন্তু তাই বলে এই হাল! মেরেকেটে শখানেক লোকও জড়ো করা গেল না বৃন্দা কারাতের সভায়। কার্যত ফাঁকা মাঠে সভা করেই বেলপাহাড়ি থেকে ফিরতে হল সিপিএমের পলিটব্যুরোর সদস্য বৃন্দা কারাতকে।
মঙ্গলবার ঝাড়গ্রাম কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী দেবলীনা হেমব্রমের সমর্থনে জনসভা ডেকেছিল ঝাড়গ্রাম জেলা সিপিএম। ছোট মাঠে সভা ছিল। মোটামুটি সাত-আটশো লোক হলেই মাঠ ভরে যাওয়ার কথা। কিন্তু সেই সভায় লোকসংখ্যা দেড়শোও ছাড়াল না। যা দেখে ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, জঙ্গল-মহলে সিপিএম এখন মরার আগে শেষ নিশ্বাস নিচ্ছে।
এ দিনের সমাবেশে যে লোক হয়নি তা মেনে নিয়েছেন সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য মধুজা সেনরায়ও। তাঁর কথায়, ‘জমায়েত কম হয়েছে। রোদ একটা কারণ। তবে সেটা বাদ দিলেও যে জমায়েত হওয়ার কথা ছিল তা হয়নি।’
কেন এমন হল? রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বাংলায় জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন সিপিএমের নেতা-কর্মীরা। তারওপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একের পর এক জনদরদী প্রকল্পের কোনও জবাব নেই তাদের কাছে। তাই একসময় সিপিএম জেলা পার্টি অফিস থেকে নির্দেশ না দিলে গাছের পাতা নড়ত না যেসব অঞ্চলে, সেখানকার মানুষরাই এখন বাম নেতা-কর্মীদের মুখের ওপর দরজা বন্ধ করে দিচ্ছেন। এদিন বৃন্দা কারাতের জনশূণ্য সভা সেটাই আরও একবার প্রমান করল।