বিরাট কোহলিদের কাছে এক রানে হারের ধাক্কা সামলে জয়ের পথে ফেরার লক্ষ্যে মঙ্গলবার সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের মুখোমুখি হচ্ছে চেন্নাই সুপার কিংস। মহেন্দ্র সিং ধোনিদের কাছে সহজ হবে না এই লড়াই। কারণ পর পর দুটি ম্যাচ জিতে চনমনে মেজাজে রয়েছে সানরাইজার্স। অন্যদিকে সহসা ধাক্কা খেয়েছে সিএসকে’র বিজয়রথ। শেষ দুটি ম্যাচে হেরে মাঠ ছেড়েছে তারা। অবশ্য এই ম্যাচে মাহি মুখিয়ে থাকবেন, ঘরের মাঠ চিপকে খেলার সুবিধা কাজে লাগিয়ে সানরাইজার্সের কাছে প্রথম লেগে হারের মধুর প্রতিশোধ নিতে।
গত ম্যাচ নিয়ে চেন্নাইয়ের কোচ স্টিভন ফ্লেমিং বলেছেন, ‘‘আরসিবি-র কাছে আমরা ১২ ইঞ্চির জন্য ম্যাচটা হেরে গেলাম। যে ম্যাচটা আমাদের জেতা উচিত ছিল।’’ ফ্লেমিং অবশ্যই শেষ বলে পার্থিবের করা রান আউটের দিকে ইঙ্গিত করেছেন। ১৯তম ওভারে তিনটে সিঙ্গলস নেননি ধোনি। যা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কিন্তু ফ্লেমিং পরিষ্কার বলে দিচ্ছেন, ‘‘ধোনি এই রকম পরিস্থিতি থেকে প্রচুর ম্যাচ বার করেছে। ওর উপর আমার পুরো ভরসা আছে। শেষ দিকে ধোনির কৌশল নিয়ে আমি কখনওই প্রশ্ন তুলব না। ধোনি যদি মনে করে, শেষ দিকে চার-পাঁচটা ছয় মেরে ও ম্যাচ জেতাবে, তা হলে সেটা করার ক্ষমতা ওর আছে। আমি সব সময় ওর পাশে থাকব।’’
অন্যদিকে, ধোনিদের বিরুদ্ধে ফের বাজিমাত করতে টিম গেমকেই পাখির চোখ করছে সানরাইজার্স।জনি বেয়ারস্টো, ডেভিড ওয়ার্নার, কেন উইলিয়ামসন, বিজয় শঙ্করের ব্যাটিং ও ভুবনেশ্বর কুমার, রশিদ খানের বোলিং ক্লিক করলে, তাদের আটকানো মুশকিল হবে। তবে প্রত্যাশা সবচেয়ে বেশি থাকবে দুই ওপেনারকে ঘিরে। রবিবার কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে জনি বেয়ারস্টো এবং ডেভিড ওয়ার্নার যে বিধ্বংসী ইনিংস খেলেছেন, তা নিঃসন্দেহে চাপে রাখবে সিএসকে অধিনায়ক ধোনিকে।
দুরন্ত শুরু করে হঠাৎ যেন কিছুটা ছন্দপতন ঘটেছে চেন্নাই সুপার কিংসের। প্রথমে সানরাইজার্স এবং তারপরে বিরাট কোহালির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের কাছে হারতে হয়েছে সিএসকে-কে। যে হারের পরে মহেন্দ্র সিংহ ধোনি বলেছেন, তাঁর দলের শুরুর দিককার ব্যাটসম্যানদের আরও দায়িত্ব নিতে হবে।
আরসিবি-র কাছে এক রানে হারার পরে ধোনি বলেন, ‘‘ম্যাচটা দারুণ হয়েছে। আমাদের বোলাররা খুবই ভাল বল করে ওদের কম রানে আটকে রেখেছিল। কিন্তু আমাদের প্রথম দিকের ব্যাটসম্যানদের ভাল খেলতে হবে। বিপক্ষের বোলিংয়ের শক্তি-দুর্বলতা জানার পরে একটা নির্দিষ্ট পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে হয়। কিন্তু শুরুর দিকে কয়েকটা উইকেট চলে গেলে মাঝের দিককার ব্যাটসম্যানরা আর বোলারদের আক্রমণ করতে পারে না। ফলে পরিকল্পনা অনুযায়ী তখন খেলা যায় না।’’