‘বাংলার মানুষকে লাগাতার বঞ্চনার পরে লোকসভা নির্বাচনে কোন মুখে ভোট চাইছে বিজেপি?’ মঙ্গলবার খানাকুলে নির্বাচনী প্রচার সভায় এসে এই প্রশ্নই তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপি সভাপতি অমিত শাহকে নিশানা করে তৃণমূল নেত্রী বলেন, ‘বাংলাকে বঞ্চিত করে এখন বসন্তের কোকিলের মতো উড়ে এসে ভোট চাইছে।’
এদিনের প্রচার সভায় মমতা প্রথম থেকেই ছিলেন আক্রমণাত্মক মেজাজে। রাম-বাম জোটকে একযোগে আক্রমণ শানিয়ে তৃণমূল নেত্রী বলেন, ‘এক সময়ের লালপার্টির হার্মাদরাই এখন বিজেপির ওস্তাদ হয়েছে। এই ওস্তাদদের ভরসাতেই বাংলায় এসে উঁকিঝুঁকি মারছে গেরুয়া শিবির। এরা ধর্ম মানে না, শুধু সন্ত্রাস করে’। মমতার কথায়, ‘পাঁচ বছর ধরে শুধুই বঞ্চনা করা হয়েছে বাংলাকে। বাংলা খেল কি না, পরল কি না, তার খোঁজ নেয়নি। বন্যায় আসেনি, খরাতেও আসেনি। এক পয়সা সাহায্যও দেয়নি। এখন ভোট এসেছে, তাই বসন্তের কোকিলের মতো এসে কুহু কুহু করছে। এরপরও কেন বাংলার মানুষ ওদের ভোট দেবে?’
মোদী ও শাহের নামোল্লেখ না করে মমতা কটাক্ষ করেন, ‘দুই সাইনবোর্ডবাবু টাকার থলি নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বলছে, ভোট দাও, ভোট দাও। বিপদে যাদের দেখা পাওয়া যায় না, তাদের কেন ভোট দেবে মানুষ?’ ক্ষিপ্ত মমতার অভিযোগ, ‘এরা হিন্দু ধর্ম মানে না। এদের একমাত্র ধর্ম হল দাঙ্গা। বিজেপি রাম কা নাম বদনাম করছে। বিজেপিকে এর জবাব দিতে হবে। ওদের বিদায়ঘণ্টা বাজার সময় এসেছে।’
মমতা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ‘এই গ্রীষ্মে মানুষের কষ্টের কথা ভাবেনি বিজেপি। নিজেদের সুবিধার জন্যই সাত দফায় ভোটের ব্যবস্থা করেছে ওরা’। তিনি জানান, লোকসভা নির্বাচনে ৪২টি আসনে জিতে কেন্দ্রে সরকার গড়বে তৃণমূল জোট। মমতা বলেন, ‘সকলকে নিয়ে সরকার গড়ব।’