শুরুর দিকে যেভাবে দৌড়চ্ছিল নাইটদের ঘোড়া, তাতে অনেকেই আইপিএলের ফাইনালে দেখতে শুরু করেছিলেন কলকাতাকে৷ কিন্তু আচমকাই বদলে গেল চিত্রটা৷ পরপর পাঁচ ম্যাচ হেরে আইপিএল থেকে কার্যত বিদায়ের সম্মুখীন কেকেআর৷ আজও হায়দ্রাবাদের কাছ থেকে জয় ছিনিয়ে নিতে পারল না কলকাতা৷
ওয়ার্নার–বেয়ারস্টো ঝড়েই কুপোকাত নাইট শিবির। কুড়ি ওভারে ১৬০ রান তাড়া করতে নেমে পাঁচ ওভার বাকি থাকতে ৯ উইকেটে ম্যাচ জিতে নিল হায়দ্রাবাদ। আর আজকের আরও ক্ষীণ হল প্লে অফের আশা৷
রবিবারের ম্যাচের বল গড়ানোর আগে নাইট মালিক শাহরুখ খানের বার্তা ছিল, রাসেলের জন্য জিততে হবে। জেতা তো দূর অস্ত! সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে কোনওরকম লড়াই করতে পারল না কেকেআর শিবির। আজকেও ভীষণ দুর্বল লাগল কলকাতার সংগঠনকে৷
জয়ের নায়ক সেই ডেভিড ওয়ার্নার–জনি বেয়ারস্টো জুটি। ১৬০ রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই বিধ্বংসী মেজাজে ছিলেন দু’জনে। রেয়াত করেননি কোনও নাইট বোলারকে। ৩৮ বলে ৬৭ রান করে ওয়ার্নার যখন আউট হন, তখন স্কোরবোর্ডে হায়দ্রাবাদের রান মাত্র ১২.২ ওভারে এক উইকেটে ১৩১ রান। অর্থাৎ বলতে গেল ম্যাচ তখন প্রায় হাতের মুঠোতে। শেষপর্যন্ত উইলিয়ামসনকে (৮*) সঙ্গে নিয়ে ম্যাচ শেষ করেন জনি বেয়ারস্টো। মাত্র ৪৩ বলে ৮৭ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন বেয়ারস্টো। মারেন ৭টি চার এবং ৪টি ছয়৷
টসে জিতে এদিন সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয়। শুরুটা দারুণ করেছিলেন সুনীল নারাইন। ৮ বলে ২৫ রান করেন নাইট ওপেনার নারাইন। ২.৪ ওভারে কেকেআর-এর রান তখন এক উইকেটে ৪২। সব দেখে শুনে নাইট-ভক্তদের মনে হচ্ছিল বড় রানের টার্গেট বুঝি চাপাবে প্রিয় দল। কিন্তু খেলা যত গড়াল, ততই ম্যাচ থেকে হারিয়ে গেল কেকেআর। দ্রুত উইকেট পড়ল। পার্টনারশিপ হল না। তার উপরে দলের আশা ভারসা আন্দ্রে রাসেল নামলেন অনেক পরে। ঝড় তোলার সুযোগও তিনি পাননি। এ দিন ৯ বলে ১৫ রান করে ফিরতে হয় ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডারকে।