আজ ২২ এপ্রিল। বিশ্ব বসুন্ধরা দিবস। বহু দিন ধরেই বছরের বিশেষ বিশেষ দিনগুলোয় নতুন নতুন ডুডল উপহার দিয়ে মানুষের মন জয় করছে গুগল। আজও তার কোনো ব্যতিক্রম হল না। সোমবার মাঝ রাত থেকেই দুর্দান্ত এই গুগলটিতে দেখা যাচ্ছে। কয়েকটি স্লাইড ছবি দিয়ে এবং কিছু তথ্য দিয়ে তৈরি হয়েছে এই ডুডল। ছ’টি প্রাণী ও উদ্ভিদের রোমাঞ্চকর তথ্য দিয়েই তৈরি এই ডুডল। প্রতিটি স্লাইডে ফুটে উঠেছে এক টুকরো করে পৃথিবী। ১৯৭০ সাল থেকে পরিবেশ সুরক্ষার ওপর গুরুত্ব দিয়ে ‘বিশ্ব ধরিত্রী দিবস’ পালন করা শুরু হয়। গত ২১ বছর ধরে প্রতি বছর নানা ভাবে এই ডুডলের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে বসুন্ধরা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর কাজে লেগে আছে গুগল।
জীববৈচিত্র্য নিয়ে মানুষের ধারণা এমনিই খুব কম। এই ব্যস্ত সময়ে মানুষ যখন নিজেকে নিয়েই মেতে আছে সেখানে আজ গুগল ডুডলের এই প্রয়াস সত্যি প্রশংসনীয়। এই বছরে বিশ্ব বসুন্ধরা দিবসে এমন ছ’টি প্রাণী এবং উদ্ভিদের সঙ্গে পরিচয় করানো হয়েছে মানুষের, যাদের সম্পর্কে মানুষের ধারণা খুব কম। জীববৈচিত্রের নানা দিক তুলে ধরা হয়েছে এই ডুডলের মাধ্যমে পৃথিবীর সর্ব বৃহৎ গাছ থেকে ক্ষুদ্রতম মেরুদন্ডী প্রাণী, সবের সমন্ধেই জানা যাচ্ছে।
স্লাইডে ক্লিক করলে প্রথমেই দেখা যাচ্ছে, বৃহত্তম সামুদ্রিক পাখি অ্যালবাট্রোস উড়ে যাওয়ার ছবি। পরের স্লাইডে দেখা মিলছে উপকূলীয় রেড উডের গাছ। গাছটির ছবির পাশে লেখা ‘৩৭৭ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট আমি ৭৫ জন মানুষের উচ্চতার সমান। পৃথিবীর সব চেয়ে বড় গাছ আমিই’। তারপরের স্লাইডে দেখা যাচ্ছে, সব চেয়ে ছোট ব্যাঙ ‘পাইডোফ্রেন এমুয়েনসিস’ এর ছবি। তার পাশে লেখা, ‘আমি দেখতে খুব ছোট। একটি কয়েনের মাপের আমিই সব চেয়ে ছোটো মেরুদণ্ডী প্রাণী।’
এর পরেই রয়েছে আমাজ়ন বনের বৃহদাকার জলজ পদ্ম। সেখানে লেখা, ‘আমি সব চেয়ে বড় জলজ পদ্ম, ছোটোখাটো চোহারার এক জন মানুষ আমার উপরে বসতেও পারে!’ পরবর্তী স্লাইড ক্লিক করলে আসছে ৪০ কোটি বছর আগে থেকে পৃথিবীতে টিকে থাকা সামুদ্রিক মাছ কোয়েলাক্যান্থের ছবি। তার পরের স্লাইডে তুলে ধরা হয়েছে গভীর গুহার নিচে বসবাসকারী পাখাবিহীন ‘স্প্রিং টেল’ পতঙ্গসহ পৃথিবীর জীববৈচিত্র্য। সেখানে লেখা, ‘যখন তুমি বিশ্বের সবচেয়ে গভীর গুহায় থাকবে, তখন চোখের কোনও প্রয়োজন হয় না’।
ডুডলের সবশেষে লেখা রয়েছে, যাদেরকে সাথে নিয়ে আমাদের এই পৃথিবী, আমরা শুধুমাত্র সেই বৈচিত্র্যময়, অনন্য এবং অসাধারণ জীববৈচিত্র্যের কিছু ক্ষুদ্র অংশ তুলে ধরেছি। আজকের এই ডুডলটি তৈরি করেছেন কেভিন লাফলিন।