এবার বর্তমানের দিকে সরাসরি আঙুল তুললেন প্রাক্তন। জানিয়ে দিলেন, তাঁর উত্তরসূরী যা বলছেন, সে কথা বলা তাঁর শোভা পায় না। হ্যাঁ, বাংলা ও বিহারের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির তুলনা টেনে রাজ্যের বিশেষ পর্যবেক্ষক অজয় কে নায়েক যে মন্তব্য করেছেন তা সমর্থন করেন না ওই পদে তাঁর পূর্বসূরি আফজল আমানুল্লা। তাঁর সাফ কথা, নির্বাচন কমিশনের পর্যবেক্ষকরা কোনও মতেই এই ধরনের মন্তব্য করতে পারেন না।
রবিবার আমানুল্লা বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের পর্যবেক্ষকরা এই ধরনের মন্তব্য করতে পারেন না। এটা আচরণবিধির পরিপন্থী। নির্বাচন কমিশন চায় না কোনও পর্যবেক্ষক রাজনৈতির বিতর্কে জড়িয়ে পড়ুন। তাদের কোনও মন্তব্য কোনও দলের পক্ষে বা কোনও দলের বিপক্ষে যায়। তাঁরা কোনও রাজনৈতিক অবস্থান নিতে পারেন না।’
তিনি জানান, ‘পর্যবেক্ষকদের প্রাথমিক কাজ হল যা দেখবেন ও শুনবেন তা কমিশনকে রিপোর্ট করা। অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট করার জন্য যা যা পদক্ষেপ করার দরকার কমিশনকে সেই ব্যাপারে পরামর্শ দেওয়াও পর্যবেক্ষকের কাজ। কিন্তু তিনি এমন কিছু বলবেন না বা করবেন না যা থেকে তাঁর এবং কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে।’
আমানুল্লা এ-ও বলেন যে, ‘এই সব ক্ষেত্রে কমিশন সাধারণত ডেপুটি নির্বাচন কমিশনারকে দিয়ে সংশ্লিষ্ট পর্যবেক্ষককে সতর্ক করে থাকে। আমার ধারণা কমিশন নায়েককে ইতিমধ্যেই সতর্ক করেছে।’ নায়েকের প্রসঙ্গে তিনি জানান, ২০০৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময় তিনি বাংলায় ভোট স্থগিত করে দেওয়ার সুপারিশ করে কমিশনকে রিপোর্ট পাঠিয়েছিলেন।
কারণ, পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে মনে হয়েছিল, রাজ্যে অবাধ ভোটের পরিস্থিতি নেই। শেষে তৎকালীন শাসকদল সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়ায় কমিশন ভোট স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত বাতিল করেছিল। আমানুল্লা বলেন, ‘এত বড় সুপারিশের কথা আমি তখন প্রকাশ্যে মিডিয়াকে বলিনি। শুনেছি, আমার দেওয়া রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তীকালেও কমিশন একাধিক পদক্ষেপ করেছে বাংলায়।’ প্রাক্তন বিশেষ পর্যবেক্ষক আমানুল্লার মন্তব্যে যে মুখ পুড়েছে নায়েকের, তা বলাই বাহুল্য।