সোমবার সকালে বাংলায় সভা করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। দুপুরে প্রখর রোদ মাথায় নিয়ে অমিত শাহ তথা বিজেপি-র বিরুদ্ধে ততোধিক আক্রমণাত্মক হয়ে পূর্ব বর্ধমানের জনসভা থেকে তৃণমূল নেত্রী বললেন, ‘বিজেপি ছাই পাবে’।
এদিন বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মমতাজ সঙ্ঘমিতার সমর্থনে দেওয়ানদিঘিতে জনসভা ছিল মমতার। সেই জনসভা থেকে মমতা বলেন, ‘খালি এখানে এসে বলছে বাংলা নেব, বাংলা নেব। তোরা ছাই নিবি।‘ এ দিনের সভা থেকে একাধিক রাজ্য সরকারের প্রকল্পের ফিরিস্তি দেন মুখ্যমন্ত্রী। শান্তিপুর-কালনা ব্রিজ, কেন্দুলি-আউশগ্রাম ব্রিজ-সহ একাধিক প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে মমতা বলেন, ‘আমি এত কথা বলতাম না। কেন বলছি জানেন তো! এটা দিল্লীর নির্বাচন। তাও কিছু লোক বাংলায় এসে বলছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কুছ নেহি কিয়া হ্যায়। তাহলে কি এই কাজগুলো আকাশ থেকে পড়ল’?
বাংলাকে কেন্দ্রীয় সরকার টাকা দেয় না বলে এদিনের জনসভা থেকে ফের দিল্লীর দিকে আঙুল তোলেন তৃণমূলনেত্রী। মমতা বলেন, ‘আমার ৫০ হাজার কোটি টাকা তুলে নিয়ে চলে যাচ্ছে। আর এক পয়সা দিচ্ছে না। তুমি আমার টাকা নিও না। আমিও তোমার থেকে টাকা চাইব না। সারা বছর দেখা যায় না, আর ভোট এলে শুধু বসন্তের কোকিলের মতো কুহু কুহু ডাকতে চলে আসে। যত সব বসন্তের কোকিল, যাও গিয়ে কাকের বাসায় ডিম পেড়ে এসো।‘
বিজেপির বিরুদ্ধে বিভাজনের রাজনীতির অভিযোগ তুলে মমতা বলেন, ‘এক হাতে গদা আর ডান্ডা, অন্য হাতে দাঙ্গার ঝান্ডা নিয়ে হিন্দুধর্ম শেখাতে আসছে।‘ এবার বর্ধমানের এই আসনে বিজেপি প্রার্থী করেছে দার্জিলিং-এর গতবারের সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়াকে। এ দিন তাঁকে বিঁধে মমতা বলেন, ‘দার্জিলিং-এ আগুন জ্বালিয়ে এসে, এখন দুর্গাপুরে বলছে ভোট দাও। কেন ভোট দেবে? বলছে আমার শ্বশুর বাড়ি। শ্বশুর বাড়ি বলে ভোট দিতে হবে! মামারবাড়ি নাকি।‘ পাশাপাশি মুমতাজ সঙ্ঘমিতার প্রশংসা করে মমতা বলেন, ‘খুব ভাল মানুষ। ওঁকে জেতান। একেবারে মাটির মানুষ।‘ এরপরই তৃণমূলনেত্রী বলেন, ‘ওঁর নাম রয়েছে তিন নম্বরে। তিন নম্বরে বোতাম টিপতে হবে। দেখুন কেমন মিলিয়ে দিচ্ছি। এক-দুই-তিন, বিজেপি-কে বিদায় দিন। তা ধিনাধিন ধিন, বিজেপি-কে বিদায় দিন।‘