সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের দামামা বাজবার পর থেকেই জঙ্গলমহল সরগরম ভোট যুদ্ধে। চায়ের ঠেক থেকে ধানখেতের আল জমছে নানা আলোচনা। রুখা মাটির পুরুলিয়ার উন্নয়ন থেকে বিরোধী রাজনৈতিক দলের কূটনৈতিক সমীকরনের জল্পনা। বাম-কংগ্রেস জোটের নারদ-নারদ খেলা, বামফ্রন্ট প্রার্থী তথা তেরো বছর আগে পাড়াসিডি ধর্ষণ মামলায় জেলা আদালতে দোষী সাব্যস্ত সাংসদের পদত্যাগের পরে আবারো কামব্যাকের মরিয়া চেষ্টা এসবকিছুকে ছাপিয়েও কিন্তু অনবদ্য পুরুলিয়া লোকসভার তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী তথা বিগত পাঁচ বছরের সাংসদ ডাঃ মৃগাঙ্ক মাহাতো।
১৯৬৩ সালের ১২ই জানুয়ারি স্বামী বিবেকানন্দ এর জন্মদিনের পুন্যতিথিতেই জন্ম পুরুলিয়ার প্রবাদ প্রতিম জননেতা তথা সিদ্ধার্থ শংকর রায়ের মন্ত্রীসভার সদস্য প্রয়াত শ্রী সীতারাম মাহাতোর কনিষ্ঠ পুত্র মৃগাঙ্ক মাহাতোর। পুরুলিয়া রামকৃষ্ণ মিশন-নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনে রামকৃষ্ণদেব-বিবেকানন্দের ভাবধারায় বেড়ে ওঠা মৃগাঙ্ক কৃতিত্বের সাথে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা পাশের পর কলকাতা থেকে যথাক্রমে এমবিবিএস ও এম ডি(চক্ষু)সম্পন্ন করার পরে পুরুলিয়ার প্রত্যন্ত হেল্থসেন্টারে চিকিৎসক হিসেবে যোগ দেন।”সেবাই পরম ধর্ম” এই ব্রতকে সামনে রেখে দীর্ঘ দুই দশক পুরুলিয়ার প্রান্তিক হেল্থসেন্টার থেকে জেলা সদর হাসপাতালে চক্ষু বিশেষজ্ঞ হিসেবে সফলতার সাথে মানুষের সেবা করেন।
মিতভাষী,পরোপকারী এই যুবক বিগত ২০১৪ সালে রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রুখামাটির পুরুলিয়ার উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে, পুরুলিয়ার আওয়াজ দিল্লীর সংসদ থেকে রাজপথে পৌছে দিতে মোটামাইনের চিকিৎসকের সরকারী চাকরী ছেড়ে দিয়ে লোকসভার প্রার্থী হয়েছিলেন। চোখে প্রয়াত পিতা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী সীতারাম মাহাতোর পুরুলিয়া জেলার জন্য অসম্পূর্ণ স্বপ্নকে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বাস্তবায়িত করতে রাজনীতির ময়দানে অবতীর্ণ হয়েছিলেন নবাগত এই তরুণ, আর সেইদিন সকলের প্রিয় ডাক্তার বাবুকে দুইলক্ষের বেশী ব্যবধানে দিল্লির সংসদে পাঠিয়ে ছিলেন পুরুলিয়ার আপামর জনসাধারণ।
পুরুলিয়া বাসীর আশীর্বাদ সাথে নিয়ে ডাক্তার থেকে সাংসদে পরিণত মৃগাঙ্ক মাহাতো দীর্ঘ পাঁচবছরে সংসদে পুরুলিয়ার আদ্রা ও জয়চন্ডী পাহাড় এর মধ্যে লেভেল ক্রসিং এ ফ্লাইওভার নির্মাণ, ঠান্ডা সংগ্রহস্থলের অভাবে পুরুলিয়ার কৃষকদের ফল ও সবজি সংরক্ষণের সমস্যা সহ বিজ্ঞান প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান শিক্ষা সংক্রান্ত গবেষনা, ইন্দিরা শিল্প ও সংগীত বিশ্ববিদ্যালয়কে জাতীয় গুরুত্বের প্রতিষ্ঠান হিসেবে দাবীর মতো গুরুত্বপূর্ণ বিতর্কে অংশগ্রহণ করেছেন।
সংসদে সোচ্চার কন্ঠে প্রশ্ন তুলেছেন বৃত্তিমূলক শিক্ষা, অবৈধ নির্মাণ, সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও গীর্জার নিরাপত্তা, ফেরিওয়ালাদের কল্যাণ, ব্যয়বহুল চিকিৎসার ঔষধ, এস এস কে এর অধীনে শিক্ষক নিয়োগ, কৃষি SAFAL যোজনার ক্ষতি নিয়ে।
বিগত পাঁচবছর ধরে ডাক্তারবাবু তার লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত সাতটি বিধানসভার বিভিন্ন অংশে প্রতীক্ষালয়, পুরুষ-মহিলা শৌচাগার,অ্যাম্বুলেন্স,
হাইমাস লাইট, সৌর বিদ্যুত সহ অগনিত রাস্তা, স্কুল-কলেজের পরিকাঠামোগত উন্নয়নে তার সাংসদ তহবিল থেকে অর্থ বরাদ্দ করেছেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আগামী দিনে পুরুলিয়ার প্রভূত উন্নয়নের মধ্য দিয়ে সারা দেশে পিছিয়ে পড়া পুরুলিয়ার জন্য সেরার তকমা ছিনিয়ে আনতে যখন বদ্ধপরিকর ডাঃ মৃগাঙ্ক তখন বিরোধী কংগ্রেস-বামফ্রন্ট-বিজেপি সব শিবির ব্যস্ত নিজেদের ছক সাজাতে- তাই পুরুলিয়ার গলি থেকে রাজপথ, কাঁসাই থেকে অযোধ্যা সর্বত্র কান পাতলে একটাই কথা ফিরে ফিরে আসছে,
“বিরোধীরা যতই কষুক অঙ্ক
পুরুলিয়ায় এবারো ডাঃ মৃগাঙ্ক”
মতামত লেখকের ব্যক্তিগত