রোজকার কর্তব্যের বাইরে গিয়ে কাশ্মীরের এক সিআরপি জওয়ান রক্তদান করে বাঁচালেন এক প্রসূতি ও এক সদ্যোজাতকে। নেটদুনিয়ায় তাঁর এই পদক্ষেপ ইতিমধ্যেই সাড়া ফেলেছে। গত কয়েক বছরে যখন কেবল রক্ত, হানাহানি, মৃত্যু, রাজনৈতিক টানাপড়েন, সাধারণ মানুষের সঙ্ঘর্ষ যখন উপত্যকার পরিচয় হয়ে দাঁড়িয়েছে, সেই মুহূর্তে ওই জওয়ানের এমন পদক্ষেপকে কুর্নিশ জানাচ্ছেন সবাই।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে সম্প্রতি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন গুলশনের বাসিন্দা, ২৫ বছরের এক মহিলা। সন্তান প্রসবের সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জেরে মা ও সন্তানের প্রাণ নিয়ে টানাটানি শুরু হয়। উপায় না দেখে কাশ্মীরে সিআরপি-র হেল্পলাইন ‘মদদগার’-এর দ্বারস্থ হয় তাঁর পরিবার। সেখানে রক্তের জোগানের জন্য এগিয়ে আসেন ৫৩ নম্বর ব্যাটেলিয়নের কনস্টেবল গোহিল শৈলেশ। রক্তদান করে ওই মহিলা ও তাঁর সদ্যজাত সন্তানের প্রাণ বাঁচান তিনি।
২০১৭-র ১৬ জুন জম্মু-কাশ্মীরে ‘মদদগার’ হেল্পলাইন চালু করে সিআরপি, যাতে জরুরি পরিস্থিতিতে উপত্যকাবাসীর কাছে চিকিৎসা এবং ত্রাণ পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া যায়। আবহাওয়া, যানজট, কার্ফু সংক্রান্ত সবরকম প্রশ্নের উত্তরও দেওয়া হয় সেখান থেকে।
সিআরপির টুইটার হ্যান্ডলে গোটা ঘটনা তুলে ধরা হয়। ওই জওয়ান এবং সদ্যজাত শিশুটির ছবি পোস্ট করে লেখা হয়, ‘রক্তের সম্পর্ক গড়ে উঠল’। সন্তান প্রসবের সময় রক্তের প্রয়োজন ছিল ২৫ বছরের এক কাশ্মীরি মহিলার। রক্তদান করে ওই মহিলা ও তাঁর সদ্যজাত সন্তানের প্রাণ বাঁচালেন তিনি।