সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় স্বার্থের সংঘাত বিতর্কের জেরে শনিবার বিসিসিআইয়ের ওম্বুডসম্যান ডিকে জৈনের সঙ্গে দেখা করেন। প্রায় তিনঘন্টা ধরে চলে শুনানি পর্ব। দিল্লীর একটি পাঁচতারা হোটেলে প্রাক্তন অধিনায়ক ছাড়াও ওই শুনানি পর্বে হাজির ছিলেন তাঁর বিরুদ্ধে স্বার্থের সংঘাতের অভিযোগ আনা তিন ক্রিকেটপ্রেমী ভাস্বতী সান্তুয়া, অভিজিৎ মুখার্জি ও রঞ্জিত শীল।
সিএবি সভাপতি হওয়া সত্ত্বেও সৌরভ কিভাবে দিল্লী ক্যাপিটালসের উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করতে পারেন, এই প্রশ্ন তুলে তাঁর বিরুদ্ধে স্বার্থের সংঘাতের মামলা দায়ের করেছিলেন তিন ক্রিকেটপ্রেমী। তারই শুনানিতে এদিন সৌরভ ও তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগকারী ব্যক্তিদের স্বপক্ষে চিঠি জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বোর্ডের ওম্বুডসম্যান ডিকে জৈন। সূত্রের খবর, আগামী সোমবার কিংবা মঙ্গলবার ওম্বুডসম্যানের কাছে সেই চিঠি পাঠিয়ে দেবেন সৌরভ।
এদিন দীর্ঘ আলোচনার শেষে ডিকে জৈন বলেন, “দুই পক্ষের বক্তব্য ছাড়াও, বিসিসিআইয়ের বক্তব্য খুব মন দিয়ে শুনেছি। তবে রায় ঘোষণার আগে চিঠির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তাই দুই পক্ষকেই চিঠি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি”। শনিবারের শুনানি নিয়ে সাংবাদিকদের সামনে সৌরভ সংক্ষেপে বলেন, “ওম্বুডসম্যান ডিকে জৈনের সঙ্গে আলোচনা বেশ ভালো হয়েছে”। রায় ঘোষণার নির্দিষ্ট তারিখ অবশ্য তিনি ধার্য করে দেননি। তবে শোনা যাচ্ছে, আগামী সাতদিনের মধ্যে রায় ঘোষিত হতে পারে। আর সেই রায় সৌরভের পক্ষেই যাবে। এই মামলায় সৌরভের পাশে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছে বিসিসিআই।
শুনানি সভায় তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়, স্বার্থের সংঘাতের অভিযোগে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে জরিমানা না করেও এই সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে। আর সে জন্য বিসিসিআইয়ের সংবিধান সংশোধন করা প্রয়োজন।