লোকসভা নির্বাচনের মধ্যে একের পর এক নেতানেত্রীদের মন্তব্য যেন এক একটা বোমা। আর সেটা ফাটার সঙ্গে সঙ্গেই উঠছে বিতর্কের ঝড়। আর সেই তালিকায় সবার আগে আছে সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া মালগাঁও বিস্ফোরণের অভিযুক্ত সাধ্বী প্রজ্ঞা ঠাকুর। দুদিন আগেই শহীদ হেমন্ত করকরকে নিয়ে অমানবিক মন্তব্যের জন্য প্রচুর বিতর্ক হয়েছিল দেশ জুড়ে। আর তার রেশ কাটতে না কাটতেই আবার এক বির্তকিত মন্তব্যে জড়ালেন সাধ্বী। এবার বহু চর্চিত বাবরি মসজিদ নিয়ে করে বসলেন লাগাম ছাড়া মন্তব্য। তাঁর কথায় ‘বাবরি মসজিদ ভেঙে বেশ করেছি।’ ওই ঘটনার জন্য তিনি রীতিমতো গর্ব বোধ করেন। আর সেটা তিনি প্রকাশ্যেই বললেন, লোকসভা নির্বাচনের দু’দফা হয়ে যাওয়ার পর। ভোটের আচরণবিধি ভেঙে বিতর্কিত মন্তব্য করার জন্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দ্বিতীয় বার ভোপালের বিজেপি প্রার্থী সাধ্বীকে সতর্ক করল নির্বাচন কমিশন।
প্রসঙ্গত, এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ’৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ভাঙার কাজে আরও অনেকের সঙ্গে আমিও সামিল হয়েছিলাম। তা জন্য আমি গর্ব বোধ করি। কারণ, ওই মসজিদ আমাদের দেশের একটি কলঙ্ক ছিল।’ শুধু এখানেই তিনি থেমে থাকেন নি। আরও বলেছেন, ‘বাবরি ধ্বংসের জন্য দুঃখ বোধ করব কেন? আমি তো রীতিমতো গর্ব বোধ করি। যে ক’জনে মিলে সে দিন বাবরি ভেঙেছিলাম, তাঁদের মধ্যে তো আমিও ছিলাম। রামমন্দিরে কিছু আগাছা ছিল। আমরা সে দিন সেটা হঠিয়ে দিয়েছিলাম।’
এইভাবে সরাসরি অমানবিক মন্তব্যের জন্য বিতর্কের ঝড় উঠেছে সর্বত্র। কি করে একজন প্রার্থী হয়ে এমন কথা বলতে পারেন তা ধারণা করতে পারছেন না বহু সাধারণ মানুষ থেকে রাজনীতিবিদরা।