মানুষের জন্য কাজ করার একমাত্র জায়গা হল মমতার তৃণমূল। এইকথা প্রমাণিত হচ্ছে বারংবার। আর তাই বিরোধী শিবির থেকে ক্রমাগত মানুষ যোগ দিচ্ছেন তৃণমূলে। ভোটের আবহেও জারি রইল বিরোধী শিবিরের ভাঙন।
শুক্রবার নানুরের জলুন্দি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন সিপিএম প্রধান তাঁর অনুগামীদের নিয়ে তৃণমূলে যোগ দেন। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে নানুর থানার জলুন্দি পঞ্চায়েতের সিপিএমের প্রাক্তন প্রধান অঞ্জলি থাণ্ডার ও একজন লোকাল কমিটির সদস্য-সহ প্রায় তিনশোর বেশি বাম সমর্থক তৃণমূলে যোগ দেন। বাসাপাড়ায় জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ করিম খান তাঁদের হাতে তৃণমূলের দলীয় পতাকা তুলে দেন।
অঞ্জলিদেবী ২০০৩-০৮ সাল পর্যন্ত জলুন্দি পঞ্চায়েতের প্রধান ছিলেন। ২০০৮-এর পঞ্চায়েত নির্বাচনে তিনি সিপিএমের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ছিলেন। এরপর ২০১৩ সালে বীরভূমের প্রায় সিংহভাগ পঞ্চায়েতের দখল নেয় তৃণমূল। তৃণমূলে যোগদানের পর অঞ্জলি থাণ্ডার বলেন, এলাকার উন্নয়ন দেখেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত করতে তৃণমূলে যোগ দিলাম। কাজের সুযোগ ছিল না সিপিএমে।
কিছুদিন আগেই বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন শ’পাঁচেক মানুষ। বাসন্তীর মোকামবেড়িয়া স্টেশন থেকে ক্যানিং-এ এসে ওই সব কর্মীরা তৃণমূলে যোগ দেন। এরমধ্যে রয়েছে গণেশ সর্দার ও সন্ধ্যা সর্দার নামে দু’জন পঞ্চায়েত সদস্য।
কিছুদিন আগেই অনুগামীদের নিয়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন সিপিএম নেতা শুকদেব মাহাতো। তাঁদের সকলের হাতে দলের পতাকা তুলে দেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা নাগ। তাছাড়াও প্রায় ৩০০ অনুগামীকে নিয়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন দুই বিজেপি নেতা সঞ্জিত মালিক এবং সুদীপ মালিক। সকলের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত। বীরভূমের তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায়ের নেতৃত্বেও বহু বিজেপি কর্মী এসেছেন তৃণমূলে। ভাটিনায় সিপিএম, কংগ্রেস ও বিজেপি ছেড়ে এলাকার শতাধিক মানুষ তৃণমূলে যোগ দেন। শতাব্দী তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন।
বাংলার উন্নয়নের জন্য, সাধারণ মানুষের উন্নয়নের জন্য, একমাত্র বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ভাবেন। তাই তৃণমূলে যোগ দিলে সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করা যাবে তা বুঝতে পেরেছেন অন্যান্য দলের কর্মীরা। তাই তাঁরা সকলেই মমতার ছত্রছায়ায় আসতে উদ্যোগী হয়েছেন। ভোটের মুখে তাই বিরোধী শিবিরে ভাঙন ধরেছে।