আজ রহস্যময় কোটলার পিচে মুখোমুখি হতে চলেছে দিল্লী এবং পাঞ্জাব। শক্তিশালী দল নিয়েও মাঝেমধ্যেই ছন্দ হারাচ্ছে দিল্লি। আর এই কারণেই আগের ম্যাচে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কাছে হেরে পয়েন্ট টেবলের তিন নম্বরে নেমে গিয়েছে ওরা। মুম্বই উঠে এসেছে দ্বিতীয় স্থানে।
অন্যদিকে আজ দিল্লীর প্রতিপক্ষ যারা, সেই কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবেরও ৯ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট। কিন্তু রানরেটে অনেকটাই পিছনে। প্রীতির টিমের কোচরা ভরসা রাখতে চাইছেন গেইল-রাহুলের ওপেনিং জুটিতে। পাঞ্জাবের বোলিং কোচ রায়ান হ্যারিস সে রকমই বলেছেন। তাঁর কথায়, ‘ক্রিস আর রাহুল— দু’জনের প্রতিভা অসামান্য। ক্রিস যেখানেই যাক, প্রচুর রান করে। আসলে ওর আত্মবিশ্বাস সব সময় থাকে অনেক উঁচুতে। এ বার প্রতি ম্যাচে ও দারুণ শুরু করেছে আমাদের টিমের হয়ে।’ জুড়ে দিয়েছেন, ‘ক্রিসের সঙ্গে কেএল যোগ হলে কথাই নেই। যখন ওরা দু’জন একসঙ্গে ক্রিজে থাকে, তখন যে কোনও টিমের কাছে তা দুঃস্বপ্ন।’
আজ ম্যাচ জিততে গেলে শুধুমাত্র কাগিসো রাবাডার দিকে তাকিয়ে না থেকে স্পিন সহায়ক উইকেটকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত দিল্লি টিম ম্যানেজমেন্টের। আর বেশি সংখ্যক স্পিনার রেখে দল গড়তে হবে। ফিরোজ শাহ কোটলার বাইশ গজের চরিত্র মাথায় রেখে ঠিক যে ভাবে দল গড়েছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। খেলিয়েছিল একজন বাড়তি স্পিনারকে। দিল্লীরও উচিৎ এমন কোনও নতুন বদল আনা।
এরই মধ্যে অনেক বিশেষজ্ঞ প্রশ্ন তুলেছেন দিল্লির টিম নির্বাচন নিয়েও। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার দিল্লি টিমে ছিলেন চার পেসার– ইশান্ত শর্মা, কাগিসো রাবাডা, কিমো পল, ক্রিস মরিস। মন্থর উইকেটে অক্ষর প্যাটেল বা অমিত মিশ্রকেও টিমে রেখেছিলেন পন্টিংরা। কিন্তু তাতে দিল্লি লাইন আপে ব্যাটিংয়ের লেজ অনেক লম্বা হয়ে গিয়েছিল।
সমর্থকেরা মনে করছেন, ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে শনিবার ঘরের মাঠে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে খেলতে নামবে দিল্লী। দুই দলের কাছেই এই ম্যাচটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পয়েন্ট তালিকায় পাশাপাশি রয়েছে দিল্লী ও পাঞ্জাব। যারা জিতবে, তারা প্রতিপক্ষকে পিছনে ফেলে পয়েন্ট টেবলে আরও উপরে পৌঁছে যাবে। তাই দু’দলই মরিয়া থাকবে নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দিয়ে পুরো পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়তে।